Student Credit Card : মুখ্যমন্ত্রীর পশ্চিম মেদিনীপুর সফরে রাস্তার ধারে বড় বড় হোর্ডিং লাগানো হয়েছিল ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’-এর সফলতায়। যা থেকে ঋণ নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষা লাভের খরচ মেটাতে পারবেন। কিন্তু সেই ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’-এ শিক্ষা ঋণ না মেলার অভিযোগে কলেজে ফি দিতে ব্যর্থ হন এক নার্সিং ছাত্রী।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : https://chat.whatsapp.com/DaQgpKDDIIH7nyDIMgrMFP
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : মুখ্যমন্ত্রীর পশ্চিম মেদিনীপুর সফরে রাস্তার ধারে বড় বড় হোর্ডিং লাগানো হয়েছিল ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’-এর সফলতায়। যা থেকে ঋণ নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষা লাভের খরচ মেটাতে পারবেন। কিন্তু সেই ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’-এ শিক্ষা ঋণ না মেলার অভিযোগে কলেজে ফি দিতে ব্যর্থ হন এক নার্সিং ছাত্রী।
যার জেরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতীর চেষ্টা বলে পরিবারের দাবি। ঘটনাটি চন্দ্রকোনা টাউন থানার অন্তর্গত ভেয়েরবাজার এলাকার। জানা গিয়েছে, তিথি দলুই নামে ওই ছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে ব্যাঙ্গালোরে নার্সিং পড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এজন্য সাড়ে তিন লক্ষ টাকা প্রয়োজন ছিল। বাবা সামান্য গরিব কৃষক।
বিভিন্ন জায়গা থেকে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে এক লক্ষ টাকা দিয়ে ভর্তি করেছিলেন মাস ছয় আগে মেয়েকে। নির্দিষ্ট সময়ের পরে নার্সিং কলেজে বাকি টাকা দেওয়ার কথা। ছাত্রীর পরিবারের মনে মনে প্রস্তুতি ছিল বাকি টাকা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড মারফত সংগ্রহ করে নেবেন। কিন্তু সেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য বারবার বিভিন্ন পদ্ধতিতে আবেদন নিবেদন করেও ব্যাঙ্ক ফিরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি দেখে কলেজে পড়ার সুযোগ হারানোর হতাশায় গত রবিবার রাতে বাড়িতেই বিষ খেয়ে নেয়। পরিবারের লোকেরা বুঝতে পেরে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে চন্দ্রকোনা হাসপাতাল, পরে অবস্থার অবনতির কারণে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন। বুধবার তাকে দেখতে মেদিনীপুর হাসপাতালে হাজির হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার একেবারে শূন্য। শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দ পর্যন্ত কমে গিয়েছে। মেলা খেলা দান করে শেষ পর্যায়ে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের প্রকল্প একটা ভাঁওতা। যে কারণে তিথি দলুইকে হতাশ হতে হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে সে। চিকিৎসকরা চেষ্টা করছেন। আমরাও পরিবারকে যতটা সম্ভব সাহায্য করছি। মানুষকে এভাবে আশা দিয়ে ভাঁওতা দেওয়ার কোন প্রয়োজন ছিল না।”
ছাত্রীর বাবা জয়দেব দলুই বলেন, “মেয়েটা নার্সিং পড়তে গিয়ে টাকা মেটাতে পারিনি বলে বাড়ি ফিরে এসেছে। বারবার ব্যাঙ্কে গিয়ে হতাশ হয়ে এই পথ নিয়েছিল। জানি না কি হবে, সুকান্তবাবুরা বলে গেলেন চিকিৎসার সহযোগিতা করবেন। নার্সিং কলেজে যথাসম্ভব ফি কমানোর চেষ্টা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Student Credit Card
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper