পত্রিকা প্রতিনিধিঃ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের শেষ মূহুর্ত্তের প্রচারে ফের রাজ্যে নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে এসে জনসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি।
এদিন তিনি বলেন,‘‘ দেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে বাংলার অবদান অনেকখানি। তবে সেই অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া বিজেপির দায়িত্ব। তাই ২রা মে দিদি যাচ্ছে, আর বঙ্গে আসল পরিবর্তন আসছে।তাছাড়া নির্বাচনের আগে দিদি এখন মেদিনীপুরে এসে বিভিন্ন অজুহাত দিচ্ছেন। আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের জবাব দিতে পারেননি দিদি। তাছাড়া ভাইপো উইন্ডোয় কাটমানির টাকা ঢুকে গেছে। বাংলা জানতে চায়, গরিবদের চাল কে লুঠ করেছে। আগে দেখা পাওয়া যেত না, এখন সরকার দুয়ারে দুয়ারে। আপনার খেলা ধরা পড়ে গেছে।’ তাছাড়া দিদি আপনার খেলা ধরা পড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন , ২রা মে মমতাকে দরজা দেখাবে বাংলার মানুষ। বাংলার মানুষ আপনার কুশাসনের জবাব দিতে তৈরি। মা-বোনেরা তৃণমূলকে সাজা দিতে তৈরি।’ ‘যেদিকেই তাকাচ্ছি ভিড় আর ভিড়, এই ছবি দেখুন দিদি। এই ছবিই বলছে তৃণমূলের খেলা শেষ, বিকাশ শুরু। বাংলার বিকাশ বিজেপির সঙ্কল্প। বাংলা চায় শিক্ষা, শিল্প, কর্মসংস্থান, নারী সুরক্ষা, কৃষক সম্মান। বাংলায় দরকার বিজেপি সরকার। ‘বিজেপি সব স্কিমকে স্ক্যাম থেকে মুক্ত করবে। কাটমানি নয়, বিজেপি সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেবে। করোনাকালে মহিলাদের জন্য কোটি কোটি টাকা দিয়েছে। মহিলাদের জন্য ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দিয়েছে। তৃণমূল সরকার এখানে কিছুই করতে দেয়নি।’ জনতার আওয়াজ শুনেই বিজেপির ইস্তেহার তৈরি হয়েছে। দেশের আত্মনির্ভরতার অন্যতম ভরকেন্দ্র মেদিনীপুর। দিদির সরকার আধুনিক কোল্ড স্টোরেজ, ফুড প্রসেসিংয়ের সুবিধে দেয়নি। লোকালের জন্য ভোকাল, এটাই আমাদের সঙ্কল্প। বাংলার কৃষকরা দিদির নির্মমতা ভুলতে পারবেন না’, কাঁথিতে মোদি। ‘পিএম কিষাণ প্রকল্পের টাকা আসতে দেননি দিদি। বাংলার কৃষকদের সঙ্গে শত্রুতা করেছেন দিদি। বিজেপি সরকার গড়লেই, ৩ বছরের বকেয়া টাকা পাবেন কৃষকরা। সিন্ডিকেটরাজ মেদিনীপুরকে নষ্ট করে দিয়েছে।’
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘রবি ঠাকুর, বঙ্গিমের বাংলায় বহিরাগতদের কথা বলছেন মমতা। আমরা সবাই এই ভারতভূমির সন্তান। এই ভারতে কেউ বহিরাগত নয়। এখানে কোনও ভারতবাসী বহিরাগত নয়।’ বাংলায় দিদি আপনাদের কোনও হিসেব দিচ্ছেন না। কেউ হিসেব চাইলেই গালি দিচ্ছেন দিদি। দিদির শাসনে বোমা, বন্দুক, বিস্ফোরণের শুব্দই শুনতে পাওয়া যায়। এই ছবি বদলাতে পারে শুধু বিজেপিই।’ ও দিদি, বারবার আমাকে বলতে হচ্ছে, কারণ আপনি শোনেন না। আপনি খেলুন, আমরা সেবা করব। বিজেপির একটাই মন্ত্র, গরিবের বাড়ি, গরিবের সম্মান। দিদি একের পর এক মিথ্যে অভিযোগ করে বেড়াচ্ছেন। নন্দীগ্রামের মানুষকে অপমান করছেন দিদি। নন্দীগ্রামের মানুষ এই অপমানের জবাব দেবেন। আমাদের স্বপ্ন, আমাদের সঙ্কল্প সোনার বাংলা।’ তাছাড়া হলদিয়াকে তছনছ করেছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট। কমিশন কালচার থেকে বের করতে হবে হলদিয়াকে। আমরা চাইছি নতুন অর্থব্যবস্থা, যেখানে প্রতিটি মৎস্যজীবী ভালো থাকবে। আমরা হলদিয়া পোর্ট বিকাশে বড় যোজনা শুরু করেছি। ডবল ইঞ্জিন সরকার এলে মেদিনীপুরের প্রতিটি পরিবারের লাভ। তবে নির্বাচনের মুখে এদিন কাঁথিতে মোদির সভায় মানুষ ও কর্মীসমর্থকদের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো।