Murder of a woman in West Midnapore for the sake of jewelry, 3 misdeeds arrested
ওয়েব ডেস্ক ,বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের কলোড়া গ্রামে ৯ মার্চ বুধবার সকালে নদীতে গলাকাটা মহিলার দেহ উদ্ধার কান্ডের কিনারা হল তিনদিনের মধ্যেই। ওই মহিলার নাম উর্মিলা দাস (৫৫)। ঘটনাস্থল থেকে ১০ কিমি দূরে নবীনমানুয়া এলাকার বাসিন্দা। পরিচয় উদ্ধার হতেই সূত্র বের করে পুলিশের স্পেশাল অপারেশন টিম শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ধরে ফেলল তিন দৃষ্কৃতিকে। তাদের কাছ থেকে খুনের সময়ে ব্যবহার করা অস্ত্র, গহনাও পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার জানান, খুনের কথা স্বীকার করেছে ধৃতেরা।
আরও পড়ুন:- লাগাতার হাতির হানায় মেদিনীপুর সদরে তছনছ জমির ফসল
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপাল পরীক্ষা কেন্দ্রে অসুস্থ ছাত্রী! হাসপাতালের বেডে বসেই দিল মাধ্যমিক
ধৃতেরা কেশপুরের বাসিন্দা। পাওরুটি ফেরী করতে দাসপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতো তারা। মৃতা মহিলার পাড়াতে ব্যবসার সুবাদে পরিচিত হয়ে গিয়েছিল। বৃদ্ধা উর্মিলা দেবী নাতনীর জন্য বিয়ের পাত্র দেখানোর নাম করে ওই পাওরুটি বিক্রেতারা বৃদ্ধাকে ৮ মার্চ বিকেলে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বৃদ্ধাকে। এলাকার বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন দাস দাবি করেছিলেন, ওই মহিলা তাঁর স্ত্রী। নিখোঁজ ছিল তিন দিন ধরে। তাঁর নাম উর্মিলা দাস। মহিলার দুই মেয়ে বিবাহিত, এক ছেলে অন্য রাজ্যে সোনার কাজ করেন।
Murder of Women
আরও পড়ুন:- বন দফতরের নিষেধাজ্ঞাকে গুরুত্ব না দিয়ে মেদিনীপুর সদরে জঙ্গলে আগুন লাগানোর অভিযোগ, ক্ষোভ এলাকাবাসীর
আরও পড়ুন:- আগ্নেয়াস্ত্র সহ বিহারের ৩ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থানার পুলিশ
মহিলা সোনার গহনা পরতে ভালোবাসতেন। সর্বদা অনেক গহনা পরে থাকতেন। নবীনমানুয়া গ্রামে পাওরুটি ফেরী করত কয়েকজন ফেরিওয়ালা। যারা সকলেই কেশপুরের বাসিন্দা। তার মধ্যে এক ফেরিওয়ালা শামিম আহমেদের সাথে বৃদ্ধা উর্মিলা দেবীর ভালো পরিচয় ছিল। প্রায় ফেরি করতে গিয়ে গল্প হতো শামিমের সাথে উর্মিলা দেবীর। উর্মিলা দেবীর নাতনীর জন্য ভালো পাত্র রয়েছে বলে শামিম জানিয়েছিল বৃদ্ধাকে। সেই মতো গত ৮ মার্চ বিকেলে উর্মিলা দেবী শামিমের সাথে ছেলে দেখতে বেরিয়ে আর ফেরেন নি।
পরদিন তাঁর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে নদীতে। পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার জানিয়েছেন, ওই মহিলা সোনার গহনা পরে থাকতেন। যেকারণে তাঁর গহনা হাতাতে পরিকল্পিত ভাবে মহিলাকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিল ওই ফেরিওয়ালারা। পরে খুন করে গহনা লোপাট করেছিল। খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বৃদ্ধার সোনার গহনা ও খুনের অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। কম সময়ে খুনের কিনারা করে দোষীদের ধরার কাজে থাকা পুলিশ কর্মীদের পুরষ্কৃত করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর গ্রামীণে জেসিবি দিয়ে বালি তোলার অভিযোগ, বাড়ছে ক্ষোভ
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Murder of Women
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore