River Erosion
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: কংসাবতী নদী ভাঙন পরিদর্শনে এলেন মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়িকা জুন মালিয়া। তাঁকে হাতের কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয়রা। আবার কেউ ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানালেন। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর গ্রামীণের ধেড়ুয়া, চাঁদড়া এলাকায় প্রবল বর্ষণে ক্ষয়ক্ষতি দেখতে হাজির হন বিধায়িকা জুল মালিয়া ও মেদিনীপুর সদরের বিডিও সুদেষ্ণা দে মৈত্র। বস্ত্র ও চাল তুলে দেন দুর্গত পরিবারগুলির হাতে। ধেড়ুয়াতে কংসাবতী নদীর তীরে অনেক গুলো পরিবার বসবাস করছে আতঙ্কের মধ্যে। যে কোনো সময় নদীগর্ভে বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার আশংকা। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে ও জনপ্রতিনিধিদের জানালেও কোনো কাজ হয় নি বলে অভিযোগ। ফের টানা বর্ষণে ক্ষতির আশংকা। এদিন বিধায়িকাকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন:- পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে পানীয় জলের হাহাকার, মানুষ খুঁজছেন প্রশাসনকে
আরও পড়ুন:- প্রবল বৃষ্টিতে প্লাবিত ঝাড়গ্রাম জেলার বহুগ্রাম, রাস্তায় ধস, বিচ্ছিন্ন বহু এলাকা
নদী বাঁধ না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বাড়ি ভেঙে পড়লেও কোনোরকম সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগ বিধায়িকা ও বিডিও-র সামনে তুললেন মালবাঁন্দী এলাকার বাসিন্দা নন্দ হেমরম। তিনি বলেন, বহুদিন ধরে আবেদন করেও মেলেনি সরকারী প্রকল্পে বাড়ি। এবারে বন্যায় বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে থাকব কোথায়। পানীয় জলেরও ব্যবস্থা নেই। তিনি বলেন, বিডিও বলেছেন বিষয়টি দেখবেন। একদিকে যখন ক্ষোভ, অন্যদিকে চাঁদড়ার যামনি, এল্ল্যাবনীতে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানান স্থানীয় মহিলারা। তবে ক্ষোভের বিষয়টি মানতে নারাজ বিধায়িকা জুন মালিয়া। তিনি বলেন, প্রবল বর্ষণে মানুষের ঘরবাড়ি, জমি নষ্ট হয়েছে। কষ্ট পেয়ে তারা আবেদন করেছেন। আমার কর্তব্য তাদের পাশে দাঁড়ানো। এদিন বিধায়িকাকে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করার আবেদন জানান ধেড়ুয়ার এক মহিলা।
পাশাপাশি চাঁদড়ার ধ্বজিধরা, কুন্ডলবনী, উপরডাঙ্গা, ভাটপাড়া এলাকায় নদী ভাঙন পরিদর্শনে যান জুন মালিয়া। স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন। বেশ কয়েকটি পরিবার নদীর তীরে বসবাস করছে। তাদের অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়ার কথা ভাবছে প্রশাসন। জুন মালিয়া জানান, নদী বাঁধের বিষয়টি রাজ্য সরকারের দফতরে জানাবেন। বিভিন্ন রাস্তাঘাট সারানোর জন্য জেলা পরিষদের সঙ্গেও কথা বলবেন। স্থানীয় বাসিন্দা অবনী বেরা, নন্দ সিং বলেন, কয়েকশ বিঘা কৃষি জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। এই মুহূর্তে যদি নদী বাঁধ দেওয়া না হয়, আগামীদিনে উপার্জনের কৃষিজমি, এমনকি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন:- নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে বাজ পড়ে মৃত ২, আহত ১
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্লাবিত এলাকায় বাড়ছে বিষধর সাপের উপদ্রব, কামড় খেয়ে অনেকেই ভর্তি হাসপাতালে
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
River Erosion
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: Midnapore Assembly MLA June Malia visited Kangsabati river erosion. The locals got angry when they found him. Again someone greeted with flowers. MLA Jul Malia and BDO Sudeshna De Maitra of Midnapore Sadar appeared on Thursday to witness the heavy rains in Dherua, Chandra area of Medinipur Grameen. She handed over clothes and rice to the affected families. Many families are living in panic on the banks of Kangsavati river in Dherua. There is a danger of the house sinking in the riverbed at any time. For a long time, various administrative offices and people’s representatives were informed but no action was taken. Risk of damage due to continuous rains. On this day, the locals got angry when they got close to the legislator.
She warned the movement if the river is not dammed. Nanda Hemram, a resident of Malbandi area, complained to the MLA and BDO that she did not get any help even though her house collapsed. She said that even after applying for a long time, the house did not match the government project. This time the flood has flooded the house. There is no drinking water system. She said the video said he would look into the matter. On the one hand, while angry, on the other hand, the local women greeted Chandra Yamni with flowers in Elabani. However, MLA Jun Malia refused to accept the issue of anger. She said that people’s houses and land have been destroyed due to heavy rains. They have applied in distress. My duty is to stand by them. On the same day, a woman from Dherua requested the legislator to make arrangements for the treatment of a cancer patient.
Besides, June Malia visited river erosion in Chandra Dhwajidhara, Kundalbani, Upardanga and Bhatpara areas. She also talked to the locals. Several families are living on the banks of the river. The administration is thinking of rehabilitating them elsewhere. June Malia said he would inform the state government office about the river dam. She will also talk to the district council to repair various roads. Abani Bera, a local resident, said Nanda Singh said hundreds of bighas of agricultural land had been submerged in the riverbed. If the river is not dammed at the moment, the agricultural land, even the houses, will be submerged in the riverbed in the future. Local residents said they had promised to take necessary steps.