বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে আসছিল জুনিয়র চিকিৎসকরা। এবার ইমার্জেন্সি পরিষেবা থেকেও সরে গেলেন তারা। যার ফলে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ইমার্জেন্সি পরিষেবা ব্যাহত হল। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইমার্জেন্সি পরিষেবা চালু রাখতে সিনিয়র চিকিৎসকদের দায়িত্ব দিয়েছেন। এতদিন ইমার্জেন্সি পরিষেবা বাদে বাকি পরিষেবাগুলি বন্ধ রেখে কর্ম বিরতি পালন করছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
এবার সেটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হয়রানির শিকার হতে হল রোগীদের। সোমবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়ে দিলেন আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য ইমার্জেন্সি পরিষেবা থেকেও তারা সরে দাঁড়ালেন। তাদের দাবি, যতক্ষণ না এই ঘটনায় সমস্ত অভিযুক্ত সামনে আসছে এবং চরম শাস্তি পরিষ্কার বুঝতে পারছি ততক্ষণ পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। সাংবাদিক সম্মেলনের পরই ইমার্জেন্সিতে থাকা চিকিৎসকদের চেয়ার ফাঁকা হয়ে যায়। সেখানে কাউকেই আর দেখা যায়নি। রোগীরা এসে থমকে যায় কোন চিকিৎসককে না পেয়ে। শুরু হয় হয়রানি।
আরও পড়ুন : ২৪০ টাকায় ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেলা মেদিনীপুরে, দেখে নিন কোন থানা এলাকার বাসিন্দাদের কবে সুযোগ
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
তবে এ আন্দোলন না উঠলে স্বাস্থ্য পরিষেবা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে থমকে যাবে! তৈরি হবে একাধিক জটিলতা। জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, “আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমাদের নিজেদের মধ্যেও বৈঠক হয়েছে। হাসপাতালে নিরাপত্তা, সিসি ক্যামেরা সহ একাধিক দাবি জানিয়েছি। কিছুটা সদর্থক, কিছুটা আশ্বাস আমরা পেয়েছি। কিন্তু অনেক হয়েছে আশ্বাস। আমরা চাই দ্রুত পদক্ষেপ। আমরা যে সহকর্মীকে হারিয়েছি তা নিরপেক্ষ তদন্ত হোক কোন ধোঁয়াশা না রেখে।
অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। এই বিচার যতক্ষণ না পর্যন্ত করা হচ্ছে আমাদের এই আন্দোলন জারি থাকবে। প্রশাসন ঠিক করবে কিভাবে ইমার্জেন্সি পরিষেবা চালু রাখবে। জুনিয়র চিকিৎসকরা কেউ অংশ নেবেনা।” জুনিয়র চিকিৎসকরা সরে যাওয়ার পরই রোগীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ইমার্জেন্সির বাইরে। কিছুক্ষণ পর সেই ইমার্জেন্সিতে দেখা গেল সিনিয়র চিকিৎসককে। তবে রোগীর আত্মীয়রা অনেকেই বলছেন, হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামো এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের হাতেই। তারা সরে গেলে কি হবে চিকিৎসা পরিষেবার?
আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore Hospital
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper