Mandarmani
আরও পড়ুন ঃ–রাজ্যে প্রথম খড়গপুরে ৪০ জন যৌনকর্মীকে ভ্যাকসিন প্রদান
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ আরে এই কি সেই দিঘা-মন্দারমণির চেনা সৈকত? ‘যশ'(Yass) -দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর সৈকতশহরকে দেখে এমনই প্রশ্ন জাগছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে।বিগত কয়েক বছর ধরেই পর্যটকদের ডেস্টিনেশন ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের মান্দারমনি (Mandarmoni) সমুদ্র (Sea) সৈকত। এখন সৈকত জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বড় বড় পাথরের খণ্ড। দেখে মনে হচ্ছে, কেউ যেন খেলা করেছে ওই পাথর খণ্ডগুলি নিয়ে। এমন দৃশ্য আক্ষরিক অর্থেই অভূতপূর্ব। ঘূর্ণিঝড় ‘যশ'(Yass) -এর তান্ডবে ভয়াবহ ক্ষয়- ক্ষতি হয়েছে সেই মন্দারমণি (Mandarmoni) সৈকত জুড়ে। তবে ‘যশ'(Yass) সমুদ্রে তান্ডব চালানোর পর দেখা গিয়েছে সমুদ্রের বিধ্বস্ত চিত্র। তবে ভাঙা কাঠামো, ভেসে যাওয়া দরজা-জানলা আর বোল্ডারের নিজেদের ইচ্ছেমতো অবস্থান নেওয়া এই তিন নিয়েই চেনা মন্দারমণির অচেনা রুপ দেখা যাচ্ছে। তবে এই প্রথম নয় , এর আগে বুলবুল, ফণী, আমফানের মতো একাধিক ঝড় বয়ে গেছে এই সমুদ্র উপকূলে। তবে সে সব ঝড়ও ছিল ভয়াবহ। কিন্তু প্রকৃতির রোষ কাকে বলে তা বুঝতে গেলে যেতে হবে মন্দারমনি। সমুদ্রের বাঁধানো পাড়ে থাকা বড়সড় পাথরের খণ্ড আর বোল্ডারগুলিকে কেউ যেন ছুড়ে ফেলেছে গোটা সৈকত জুড়ে। পাথরের টুকরোয় ‘অবরুদ্ধ’ সমুদ্রের পাড়ের কয়েক কিলোমিটার এলাকা। যা দেখে অনেকে বলেই ফেললেন, ‘‘১৯৭৮ সালের বন্যাতেও দিঘার সৈকতের এমন ভয়াবহ দৃশ্য নজরে আসেনি।’’ তবে মান্দারমনি(Mandarmoni) সমুদ্র তীরবর্তী একাধিক হোটেলে এখন ধ্বংসের ছাপ। ভেঙেছে এক তলা বিশিষ্ট একাধিক হোটেল। বড় হোটেলগুলির নীচতলাতেও ‘যশ'(Yass) -এর তাণ্ডবের চিহ্ন বর্তমান।
মন্দারমণি হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি দেবদুলাল দাস মহাপাত্র (Debdulal Das Mahapatra) বলেন , ” দিঘা(Digha), শঙ্করপুরের(Shankarpur) পাশাপাশি মান্দারমনিতে (Mandarmoni) প্রায় ২০০ টি হোটেল, রিসর্ট রয়েছে। তবে ‘যশ'(Yass) – এর তান্ডবে প্রায় ৮০টি হোটেল কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হোটেল ব্যাবসায়ীদের আফশোস, জলের তোড়ে হোটেল ভেঙে পড়ার সময় কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া এই যন্ত্রণা আমাদের কতদিন নিয়ে বয়ে বেড়াতে হবে কে জানে।
সমুদ্রের জল ঢুকে ওল্ড দিঘার উপকূলবর্তী হোটেলগুলিরও প্রভূত ক্ষতি করেছে বলে জানিয়েছেন দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় (Bipradas Chatterjee)। তিনি বলেন, ‘‘এমনিতেই লকডাউন আর করোনার ধাক্কায় ধুঁকছিল হোটেলগুলি। এ বার ব্যবসার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিল ‘যশ'(Yass) তাণ্ডব।’’
মৃত্যুপুরী পর্যটন কেন্দ্র’কে দেখে স্থানীয়রাই বলছেন, মন্দারমণি (Mandarmoni) আজ মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছে। আর মান্দারমনি হোটেল ছিল একেবারে সি-বিচ লাগোয়া। তাই এই সব হোটেল একসাথে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সমুদ্র লাগোয়া ঘরগুলি দাঁড়িয়ে আছে কত স্মৃতি নিয়ে। কারও একটা পিলার আছে। কারও বা দাঁড়িয়ে আছে শুধু দরজাটা। ভেঙে গিয়েছে দালান, মেঝে। ফাটল ধরেছে রাস্তায়। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে আছে। গোটা এলাকা অন্ধকার। মাঝে মধ্যেই অবশ্য বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।তবে পরবর্তী সময়ে সব ঠিকঠাক থাকলে এখানে পর্যটকরা আসতে পারেন পুজোর সময়। তার আগে হোটেল সংষ্কার শেষ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এখানকার বাসিন্দারা চাইছেন দিঘার মতো এখানেও গার্ডওয়াল বানানো হোক। না হলে অদূর ভবিষ্যতে সমুদ্রে তলিয়ে যাবে মন্দারমনি(Mandarmoni)।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Mandarmani
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore