পত্রিকা প্রতিনিধিঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা। তবে নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কে ইতিমধ্যে তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে বেশ কয়েকবার নন্দীগ্রামে গিয়ে নেতাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে এসেছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাই ভোটের কাজ নিবিড় ভাবে পরিচালনার জন্য দু’টি ব্লকে দু’টি পৃথক অফিস তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা প্রকাশিত হওয়া কথা আগামী দিনেই। কিন্তু একটি কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে কোনও সংশয় কার্যত নেই। কারণ, গত ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম আসনে প্রার্থী হিসেবে মমতা প্রকাশ্য সভা থেকে নিজের নাম কার্যত ঘোষণাই করে দিয়েছিলেন। ওইদিন নন্দীগ্রামের তেখালি মাঠের জনসভা শেষ হতেই ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছিল। গত শুক্রবার নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে সব রাজনৈতিক শিবিরে। কিন্তু নন্দীগ্রাম নিয়ে তৃণমূলে প্রস্তুতি একটু বেশিই। কারণ, সেখানে প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাই দলের রাজ্য স্তরের নেতারা প্রায় নিয়ম করে নন্দীগ্রামে যাতায়াত শুরু করেছেন। সেই ঘটনাপ্রবাহ মেনেই ভোট পরিচালনার জন্য একজো়ড়া অফিস তৈরি হচ্ছে নন্দীগ্রামে।ভোটপ্রচারে নন্দীগ্রামে নন্দীগ্রাম-১ এবং নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে দু’টি দফতর খুলছে তৃণমূল । তবে নন্দীগ্রামে জোড়া অফিস খোলা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, নন্দীগ্রামের দু’টি ব্লকের রাজনৈতিক ও সামাজিক চরিত্র ভিন্ন। নন্দীগ্রাম-১ ব্লক যেমন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত, তেমনই আবার নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে সংখ্যাগুরুদের প্রাধান্য।
তাই পৃথক দু’টি কার্যালয় থেকে পৃথক কৌশল এবং রণনীতি নিয়ে প্রচার-সহ যাবতীয় কাজকর্ম সারবেন নেতা-কর্মীরা । সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামে ভোট পরিচালনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে। পাশাপাশি দোলা নিজে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় অনেকবারই সেখানে গিয়েছেন। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সঙ্গে তিনি নিজেও প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন।