পত্রিকা প্রতিনিধি : সেকেন্দ্রাবাদ থেকে ঈদের ছুটিতে মাসুদ আহমেদ পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরছিলেন জন শতাব্দী এক্সপ্রেসে। কিন্তু ট্রেন খড়গপুর স্টেশন ছাড়ার পরই হাতিগেলা ব্রিজের কাছে পৌঁছাতে না পৌছাতেই নিজের মোবাইলে মগ্ন ছিলেন ওই পরিজযী শ্রমিক । সেইবসময় হঠাৎই এক ছিনতাইবাজ তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে ঝাঁপ দেয় চলন্ত ট্রেন থেকে । তারপর আর ঠিক সিনেমা কায়দায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছিনতাইবাজকে ধরার জন্য চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন মাসুদ । ঝাপ দেবার পরে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রায় ৩ কিমি ধাবা দিয়ে নিজের কষ্ট করা টাকা দিয়ে কেনার মোবাইল উদ্ধার করেন মাসুদ। পরে স্থানীয়দের মদতে ওই ছিনতাইবাজকে ধরে ফেলে রেল পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আরপিএফ এর কর্তারা । গ্রেফতার করা হয় ছিনতাইবাজকে এবং নিয়ে যাওয়া হয় খড়গপুর স্টেশনের জিআরপি ফাঁড়িতে সেখানেই তার নামে লিখিত অভিযোগ জানায় পরিযায়ী শ্রমিক মাসুদ আহমেদ । প্রশ্ন উঠছে বিনা টিকিট ছাড়াই কাউকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না করোনা কালে । তাহলে জনশতাব্দীর মতো ট্রেনে ছিনতাইবাজ রা কি করে উঠছে তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন । সেকেন্দ্রাবাদ থেকে উলুবেরিয়া নিজের বাড়ি ফিরছিলেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক । শেষমেষ স্থানীয় এক সাংবাদিকের মদতে জাতীয় সড়ক ৬ চৌরঙ্গীর কাছে এক ট্রাকে তুলে দিলে নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক ।
খড়গপুরে দুষ্কৃতীকে ধরতে ফিল্মি কায়দায় ট্রেন থেকে ঝাঁপ যুবকের
- Advertisement -