Employment
আরও পড়ুন ঃ–অবৈধ বালি কারবার রুখতে পশ্চিম মেদিনীপুরে উড়বে ড্রোন, বসলো সিসি ক্যামেরা
অরুপ নন্দী : এমনিতেই রাজ্য বেকার সমস্যায় জেরবার। কোভিড পরিস্থিতি সেই সমস্যার তীব্রতা এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর বহু মানুষ কাজ ফিরে পাননি। আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা দেখিয়েছিল, গত বছরের লকডাউনে দেশে পরিযায়ী শ্রমিকদের ৮১ শতাংশ কাজ হারিয়েছিলেন। ‘স্ট্র্যান্ডেড ওয়ার্কার্স অ্যাকশন নেটওয়ার্ক’ সংস্থার সমীক্ষা দেখাচ্ছে, এ বছর কেন্দ্রীয় ভাবে না হলেও বিভিন্ন রাজ্যে অল্পদিনের যে লকডাউনগুলি হয়েছে, তাতে ইতিমধ্যেই কাজ চলে গেছে ৮১ শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিকের। এদের অধিকাংশই অস্থায়ী কর্মী তথা চুক্তিশ্রমিক। কাজের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে শিক্ষিত যুব সমাজও।
তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় তৃণমূল। প্রত্যাশাও অনেক জনসাধারণের। যুব সমাজ তাকিয়ে আছে কর্মসংস্থানের জন্য। এই পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থানের ওপর জোর দিচ্ছেন মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়িকা জুন মালিয়া। বিধানসভা ক্ষেত্রের বিভিন্ন এলাকায় কৃষিজাত ও বনজভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে তাঁর। বিধায়িকা হিসাবে কর্মসংস্থানই তাঁর প্রথম লক্ষ্য বলে জানান। বিভিন্ন ছোট ছোট শিল্প গড়ে তোলা গেলে কিছু হলেও কর্মসংস্থান করা যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
জানা গিয়েছে, কৃষিজাত শিল্পের ওপরই জোর দিয়েছেন তিনি। চাইছেন উৎপাদনজাত শিল্প গড়ে তুলতে। এ বিষয়ে প্রাথমিক স্তরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে তাঁর। জুন মালিয়া বলেন, ‘বিধায়িকা হিসাবে আমার কাজের প্রথমে রয়েছে কর্মসংস্থান। চেষ্টা করছি বিভিন্ন উৎপাদনজাত শিল্প গড়ে তোলার। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা চলছে।’ সূত্রের খবর বিভিন্ন সংস্থা জায়গা পরিদর্শনও করে গেছে শিল্প করার জন্য। যদিও এখনও পাকাপাকি ভাবে কিছু কথা হয়নি। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ খেটে-খাওয়া মানুষদের কাছে মাস পোহালে নির্দিষ্ট আয় বা সরকারি সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা তো আকাশের চাঁদ। অথচ ‘গতরে খেটে’ খাওয়া ছাড়া বাঁচবার দ্বিতীয় পন্থা নেই তাঁদের। এই অবস্থায় অসংখ্য মানুষ পরিবার-পরিজন সমেত তলিয়ে যাচ্ছেন দারিদ্রের সীমাহীন অন্ধকারে। চারপাশে কাজ খুঁজে খুঁজে হন্যে হয়ে যাওয়া মানুষের ভিড়। এই পরিস্থিতিতে শিল্প গড়ে উঠলে একটা স্থায়ী কাজের ব্যবস্থা হবে অনেকেরই। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মেদিনীপুর বিধানসভা ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের জন্য শিল্প গড়ে তুলতে পারবেন বলে আশাবাদী জুন। জুন বলেন, এলাকাবাসীর উন্নয়নের জন্য কর্মসংস্থান জরুরি। সামগ্রিক ভাবে যদিও অনেকটা সময়ের প্রয়োজন। তবে কর্মসংস্থানের জন্য শিল্প গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। আশাকরি শুরুটা করতে পারব।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Employment
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore