Home » চিকিৎসার গাফিতলিতে ঝাড়গ্রামে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু, ফের চিকিৎসক নিগ্রহ জঙ্গলমহলের কোভিড হাসপাতালে

চিকিৎসার গাফিতলিতে ঝাড়গ্রামে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু, ফের চিকিৎসক নিগ্রহ জঙ্গলমহলের কোভিড হাসপাতালে

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

পত্রিকা প্রতিনিধি:করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফের মৃত্যু হল ঝাড়গ্রামে। গতকাল (শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ২৮ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। আর এই মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সিপিআই এমের জেলা সম্পাদকের নেতৃত্ত্বে আজ সকালে ঝাড়গ্রাম শহরে ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। Jhargram corona , jhargram corona, coronavirus in jhargram

আরোপড়ুন- মেদিনীপুরে খুন হলেন ২ ফুলের কারিগর, থানায় আত্মসমর্পণ খুনির

এছাড়াও অপরদিকে অবরোধে সমিল হন তৃনমূলের ঝাড়গ্রাম জেলার কর্মী অজিত মাহাত এবং বিজেপির অন্যান্য কর্মীরা।পরিবারের লোকের অভিযোগসিএমওএইচ, জেলাশাসক এর তুঘলকি সিদ্ধান্তের জেরেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।


ডায়রিয়া এবং জ্বর উপসর্গ নিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বরে ভর্তি হওয়া এই তরুনের কোভিড পজেটিভ থাকলেও তাকে কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়নি। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কোভিড হাসপাতালে আনা হয়। অথচ কোনোকিছুই তার পরিবারের লোক কে জানানো হয়না। গতকাল রাতে সেখানেই মারা যায় ওই যুবক বলে জানা যায়। এমনকি তার পরিবারের লোকজনদের ন্যূনতম করোনা টেস্টের ব্যবস্থাও করা হয়নি এখনো বলে জানা যায় পারিবারিক সূত্রে। এর আগেও এ সি ও এম এইচ এর মৃত্যও ঘটে অবহেলার কারণে এমনটাই জানা যায় পরিবারের লোকজনের তরফে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর পুলিসকর্মীর মৃত্যু ঘটেছে সেই কোভিড হাসপাতলেই। প্রত্যেক টি মৃত্যুর ক্ষেত্রেই পরিকাঠামোগত ত্রুটি ও চিকিৎসকদের গাফিলতই মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ। যে চিকিৎসক ডিউটি তে ছিলেন সেই সুকল্প চৌধুরী সারাদিন বিভিন্ন জায়গাতে প্রইভেট প্রাক্টিস নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়াতেই এই মৃত্যু বলে অভিযোগ।তাদের আরো অভিযোগ গ্রীন জোন ঝাড়গ্রামে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে করোনা ছড়ানো হচ্ছে। আর যার ফলে মৃত্যুর মতো ঘটনা বাড়ছে।

ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে করোনা মৃত্যু নিয়ে অবরোধ চলাকালিন হাসপাতাল চত্ত্বরে মেডিসিনের চিকিৎসক অর্নাশিষ হোতাকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোাগ।অভিযোগ তৃনমূলের ঝাড়গ্রামের কোর্ডিনেটর অজিত মাহাতোর সামনেই তার লোকজনেরা তাঁকে মারধর করে। এর পরেই কর্মবিরতি শুরু করে চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা।চিকিৎসকরে স্পষ্ট অভিযোগ ঠান্ডা ঘড়ে বসে ডিএম, সিএমওএইচ যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাতে মানুষকে ডাক্তার দের বিরুদ্ধে রাগিয়ে তোলা হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে কর্মবিরতি।

ঝাড়গ্রামের করোনা হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের অভিযোগে কর্মবিরতি

ঝাড়গ্রাম জেলায় শুক্রবার ২৫ জনের করোনা পজেটিভের হদিশ মিলল। এর ফলে ঝাড়গ্রাম জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হয়ে দাঁড়াল ৪৮৯। শুক্রবার ১৮ সেপ্টেম্বর রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে প্রকাশিত বুলেটিনে নতুন করে ২৫ জনের করোনা পজেটিভের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে স্যাম্পল নেওয়া হয়েছিল তার ভিত্তিতে এই রিপোর্ট। এমনকি ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ইতিমধ্যে পূর্বের যে ৩৪৯ জনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছিল তাঁদের চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যুর খবর সরকারি ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে বুলেটিনে। যার ফলে বর্তমানে ঝাড়গ্রাম জেলায় মোট ১৩৮ জন ব্যক্তির শরীরে করোনা পজেটিভ থাকার খবর জানানো হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে।

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasach

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.