পত্রিকা প্রতিনিধিঃ ২১জুন ৮ম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায়। করোনা পরিস্থিতির কারণে বেশির ভাগ জায়গাতেই ভার্চুয়ালি এই যোগা দিবস পালিত হয়েছে। কোথাও আবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে যোগ দিবস পালিত হল। যোগাভ্যাসের উপকারিতা অনেক, নিজেকে সুস্থ ও ফিট রাখতে হলে যোগের বিকল্প আর নেই। প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশ্ব নেতাদের এই দিবসকে গ্রহণ করতে বলেন এবং তিনি জানান যে যোগা জীবনকে পরিবর্তন করে এবং চেতনা তৈরি করে, এটা জলবায়ু পরিবর্তনে সহায়তাও করে।
মেদিনীপুর সদর ব্লকের খয়েরুল্লাচকের বিবেকানন্দ যোগা মিশনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হল ওই গ্রামের আমবাগানে। ৫০ জন শিশু, মহিলা, পুরুষ এই যোগ দিবসে অংশ নেন। প্রশিক্ষক অসিত দত্ত বলেন, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে যোগা দিবস পালিত হয়েছে এবং সকলে উৎসাহের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন। সবুজায়নের বার্তা দিতে বৃক্ষরোপণের কর্মসূচিও হয়েছে এদিন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের বাড়বড়িশা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে “স্বামীজি যোগ দিশারী’র” উদ্যোগে বিশ্ব যোগ দিবস পালন করা হয়।২০১৪ সালের ২৭ সে সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভাষণ দেওয়ার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি ২১ শে জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস বলে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন।সেই বছরই ১১ ই ডিসেম্বর রাষ্ট্রসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদ ২১ শে জুন তারিখ টিকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।
এই দিন স্বামীজি দিশারী সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বনাথ দাস বলেন শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে নিয়মিত যোগ ব্যায়ামের প্রয়োজন রয়েছে।এতে যেমন শরীরের অধিকাংশ রোগকে দূর করতে পারেন পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা আরো বেড়ে যায়।এবং করোনা মহামারী ভাইরাস কেউ এই ব্যায়ামের মাধ্যমে পরাজিত করা সম্ভব বলে জানান তিনি।