Help application
আরও পড়ুন ঃ–২৪ জুন স্নানযাত্রা, এবছরও মেদিনীপুর শহরে বন্ধ থাকছে রথযাত্রার উৎসব
শুভম সিংঃ ঘূর্ণিঝড় ‘যশ'(Yass) -এর তান্ডবে ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র ও নদী উপকূলবর্তী দিঘা (Digha), মান্দারমনি (Mandarmani) , শঙ্করপুর (shankarpur) , তাজপুর (tajpur) , জুনপুট (junput) , রসুলপুর (rasulpur) , দুরমুঠ , নয়াপুট , শৌলা , কাজলা , মগরা সহ একাধিক এলাকা। আর এই সমস্ত এলাকার মানুষদের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় যশের দাপটে রাজ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু মানুষ৷ সেই মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির অনুদান দিতে জেলা প্রশাসনের তরফে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়েছে অনেক আগেই। পাশাপাশি পঞ্চায়েত স্তরে আবেদন নেওয়া শুরু হলেও দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পে এই আবেদন ৩ জুন থেকে জেলার সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও অফিসে জমা করতে পারবেন দুর্গতরা। আর আবেদনের ভিত্তিতে প্রশাসনের আধিকারিকরা ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখবেন। এরপর দুর্গতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ক্ষতিপূরণের টাকা পাঠিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে জেলায় দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে জেলা প্রশাসনের তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও জেলার বিভিন্ন ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বাসিন্দারা আবেদন জমা দিতে ইতিমধ্যে ভিড় জমাচ্ছেন। এমতাবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুর (purba medinipur)জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, -এর প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য শনিবার পযর্ন্ত আবেদন গ্রহণের শেষদিন ছিল। এই পর্যন্ত জেলা জুড়ে প্রায় ১ লক্ষ ৪৩ হাজার মানুষ ক্ষতিপূরণের দাবীতে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরে (purba medinipur) সব থেকে বেশী আবেদন এসেছে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে (Nandigram)। যেখানে প্রায় ১৯ হাজার ৮৪৬ জন ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছেন। এছাড়াও আবেদন জমা পড়েছে খেজুরি-২ ব্লকে ১৯ হাজার ২৪টি, কাঁথি’র দেশপ্রাণ ব্লকে ১২ হাজার ১৪৩টি, রামনগর-১ ব্লকে ১১ হাজার ৯২০টি, চন্ডীপুর ব্লকে ১১ হাজার ৫৭টি। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তের আবেদন জমা পড়েছে ২৬ হাজার ৯৩টি এবং আংশিক ক্ষয়ক্ষতির আবেদন পড়েছে ৫৬ হাজার ৯৬৪টি। তবে শেষদিনেই আবেদন জমা পড়েছে সব থেকে বেশী। এই আবেদনের ওপর ভিত্তি করেই ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রকৃত চিত্র খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকেরা।তবে এবার রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশ, কোনও ভাবেই যেন ভুয়ো আবেদনকারী ক্ষতিপূরণ নিতে না পারেন। তা নিয়ে নবান্নের তরফে আধিকারিকদের বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে ।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Help application
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore