পত্রিকা প্রতিনিধিঃ করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজে পঠন-পাঠন। ফলে পরীক্ষা হয়নি উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষার্থীদের।৭ জুন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে বিশেষ ফর্মুলায় হয়েছে মূল্যায়ন।
আর সেই পরীক্ষা না দিয়েই নিজের চাহিদার থেকে বেশি নম্বর পেয়ে হয়েছে পরীক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের ফল ঘোষণা করলেন উচ্চ মাধ্যমিক(Higher Secondary)
শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস। তিনি বলেন, এবার ৮,১৯,২০২ জন রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিকে এবছরের পাশের হার ৯৭.৬৯ শতাংশ। গতবার পাশের হার ছিল ৯০.১৩ শতাংশ। তাছাড়া ছেলেদের পাশের হার ৯৭.৭ শতাংশ। মেয়েদের পাশের হার প্রায় সমান।তবে সংখ্যালঘু প্রার্থীদের পাশের হার ৯৭.৪৬ শতাংশ। তফসিলি জাতি ও উপজাতি প্রার্থীদের পাশের হার ৯৭.৩৩ শতাংশ।
তবে এরমধ্যে প্রথম ডিভিশন পেয়েছেন ৩,১৯,৩২৭ লাখ পরীক্ষার্থী। প্রথম দশের মধ্যে আছেন ৮৬ জন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর ৪৯৯। এদিন সংসদের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, ২ অগাস্ট-১৪ অগাস্টের মধ্যে নিজের স্কুলে ভর্তি করতে হবে পড়ুয়াদের। ১৬ অগাস্ট-৩১ অগাস্টের মধ্যে ভর্তি করতে হবে জানান কর্তৃপক্ষ।সেই মতো রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার উচ্চমাধ্যমিকে ফলাফল ঐতিহাসিক বৃদ্ধি উত্তীর্ণের হারে।এবছরের উচ্চমাধ্যমিকের মেধা তালিকায় এবার পশ্চিম মেদিনীপুর(West Medinipur) জেলার ১ ছাত্রী ও ১ ছাত্র । নবম হয়েছে মেদিনীপুর(Medinipur) শহরের আলিগঞ্জ ঋষি রাজনারায়ণ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুপর্ণা সাহু। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১। অপরদিকে মেধা তালিকায় নাম চন্দ্রকোনা (Chandrakona) জিরাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র রাকেশ মালস। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরে (East Medinipur)পাশের হার ৯৭.১৬ শতাংশ ।