পত্রিকা প্রতিনিধি: এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সেরাদের তালিকায় পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মোট পাঁচজন জায়গা করে নিয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তিনজন এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আরও দু’জন মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন। ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে অবশ্য কেউ আসতে পারেননি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পাশের হার ৯৭.১৬ শতাংশ। পশ্চিম মেদিনীপুরে পাশের হার ৯৭.৩৫ শতাংশ। ঝাড়গ্রাম জেলায় উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৯৬.৭২ শতাংশ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) চাপেশ্বর সর্দার বলেন, আমাদের জেলায় দু’জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী র্যাঙ্ক করেছেন। একজন নবম এবং অপরজন দশম স্থানাধিকারী।পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) আমিনুল আহসান বলেন, আমাদের জেলায় তিনজন মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের আমদাবাদ হাইস্কুলের শুভ্রদীপ মাইতি ৪৯১ নম্বর পেয়ে রাজ্যে সম্ভাব্য নবম স্থান অর্জন করেছেন। তমলুকের কেলোমাল সন্তোষিনী হাইস্কুলের শুভদীপ মাইতি এবং কন্টাই মডেল ইনস্টিটিউশনের সুদিব্যজ্যোতি করণ ৪৯০ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় সম্ভাব্য দশম স্থানাধিকারী। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরের অলিগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ের সুপর্ণা সাহু নবম স্থান দখল করেছেন। চন্দ্রকোণা জিরাট হাই স্কুলের রাকেশ মালাস ৪৯০ নম্বর পেয়ে সম্ভাব্য দশম স্থানে রয়েছেন।নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের খোদামবাড়ি গ্রামের শুভ্রদীপ ভবিষ্যতে পদার্থবিদএ গবেষণা করতে চান। মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় স্থান না পেলেও উচ্চ মাধ্যমিকে তিনিই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক। তমলুকের দশম স্থানাধিকারী শুভদীপ আইআইটিতে পড়াশোনা করতে চান।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এবার মোট ৪৩ হাজার ৯১৩ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন। জানা গিয়েছে, উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১৯ হাজার ৪৬৫ এবং ছাত্রী ২৩ হাজার ২০২ জন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ৪০ হাজার ৭৫৩ জন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩৯ হাজার ৬৭২ জন। তাঁদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৭০ এবং ছাত্রী সংখ্যা ২১ হাজার ৩০২। ঝাড়গ্রাম জেলায় মোট ১০ হাজার ৭৭১ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ৪১৮ জন।মহিষাদলের বাড় অমৃতবেড়িয়া উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল থেকে মাধ্যমিকে ৬৫১ নম্বর পেয়েছিলেন সৌভিক জানা। এবার তাঁর উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৪৩৫।