পত্রিকা প্রতিনিধি : শাসক শিবিরে ক্রমশই বাড়ছে মারণ ভাইরাসের থাবা। ইতিমধ্যেই শাসকদলের বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের মৃত্যু হয়েছে এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপে।এখন জীবনমরণ টানাটানি শুরু হয়েছে তৃণমূলেরই অপর এক বিধায়ক সমরেশ দাসকে ঘিরে। তবে বছর সত্তরের এই বিধায়কের এমনিতেই হৃদযন্ত্রের সমস্যা ও হাঁপানির টান রয়েছে।তার উপরে শরীরে এখন হানা দিয়েছে মারণ করোনা ভাইরাস।যার ভয়ে এখনও কাঁপছে গোটা বিশ্ব।
জানা গিয়েছে, সংক্রমণ ছাড়াই গত কয়েকদিন আগে বিধায়ককের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।এরপর তাকে পাঁশকুড়া বড়োমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এরপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।এরপর সোমবার তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।পাশাপাশি সর্বক্ষণ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।আর সেটাই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসকদের কাছে।তবে তার পাশাপাশি চিন্তা বাড়ছে তাঁর অনুগামী ও পরিজনদেরও। ইতিমধ্যেই বিধায়কের স্বাস্থ্যের নিয়মিত খবরাখবর নিচ্ছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।তবে এগরার বিধায়ক সমরেশ দাসের এই শারীরিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্যের শাসক শিবিরে। ২০০৯ সালে বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতে পূর্ব মেদিনীপুর এগরা বিধানসভার এমএলএ হন তিনি।তারপর ১১ বছর ধরে রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকায় সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তাঁর অবস্থা সংকটজনক, এই খবরে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে সমরেশ দাসের বিধানসভা কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত,সপ্তাহখানেক আগে বিধায়ক সমরেশ দাসের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বয়সজনিত কারণে এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকায় তাঁকে পাঁশকুড়ার বড়োমা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মুখ্যমন্ত্রী ও পরিবহন মন্ত্রীর নির্দেশ তার সুচিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে পাঁশকুড়ার হাসপাতাল থেকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার হয়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, কো-মরবিডিটির কারণে করোনা আক্রান্ত বিধায়ক সমরেশ দাস’কে আমরি হাসপাতালের হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।তবে ঘটনা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসকদের কাছে। বিধায়কের স্বাস্থ্যের খবর নিচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।তবে এই মূহুর্তে বিধায়কের শারীরিক অবস্থা গতকালের থেকে স্থিতিশীল।