Home » মূল্যায়নে প্রকৃত মেধা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা মর্যাদা পাবে না, ক্ষোভ জেলার শিক্ষক মহলে

মূল্যায়নে প্রকৃত মেধা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা মর্যাদা পাবে না, ক্ষোভ জেলার শিক্ষক মহলে

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

Education news education news today education news india mp education portal news

আরও পড়ুন ঃচুপিসারে ঘুরপথে সিএএ প্রবর্তনের চেষ্টা, বিরোধিতায় মেদিনীপুরে বিক্ষোভ

পত্রিকা প্রতিনিধি : পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়ে দিয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন কিভাবে হবে। এরপরই ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষক মহলে।

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। মূল্যায়ন পদ্ধতিও যুক্তিযুক্ত নয় বলেই দাবি। সাংবাদিক বৈঠক করে পর্ষদ জানিয়েছে, ২০২১-এর মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে মূল্যায়ন হবে ৫০-৫০ ফর্মূলায়। অর্থাৎ নবম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং দশম শ্রেণির টেস্টের প্রাপ্ত নম্বরের ফলাফলকে গুরুত্ব দিয়ে। উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে, ২০১৯-এর মাধ্যমিকে যে চার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি নম্বর তাতে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বরের উপর ৪০ শতাংশ এবং ২০২০-র একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় (থিওরি) প্রাপ্ত নম্বরের উপর ৬০ শতাংশ।

ফ‍াইল চিত্র

মাধ্যমিক(secondary) এবং উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary)দু’ক্ষেত্রেই মূল্যায়নে সন্তুষ্ট না হলে পরে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তাতেই। মাধ্যমিক পরীক্ষাতে যেভাবে ছাত্রছাত্রীরা প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয় নবম শ্রেণীর ক্ষেত্রে তা হয় না। একইভাবে উচ্চ মাধ্যমিকে যেভাবে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দেয় একাদশ শ্রেণীর ক্ষেত্রে তা হয় না। জেলার বহু শিক্ষক মানছেন, ফাইনাল পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে যাতে ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশোনা করে তার জন্য টেস্ট পরীক্ষায় অনেক চেপে নম্বর দেওয়া হয়।

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির জেলা সম্পাদক উত্তম প্রধান বলেন, এই সিদ্ধান্ত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকৃত মূল্যায়ন নয়। এবং শেষে বলা হয়েছে যাদের এই মূল্যায়নের নম্বরে তারা সন্তুষ্ট নয় তারা পরীক্ষায় বসতে পারে। অর্থাৎ জুলাই মাসে যদি ফল প্রকাশ হয় তারপরে ছাত্রছাত্রীরা তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। তারপর আগস্টের সময় তারা লিখিত পরীক্ষা নেবে অর্থাৎ ছাত্র-ছাত্রীদের পরবর্তী ক্লাসে ভর্তি ব্যবস্থা কিভাবে হবে সে সম্পর্কে তারা অনিশ্চিত। উত্তম বাবু বলেন, সরকার ইচ্ছে করলেই পরীক্ষাটা নিতে পারে। এখনো যে সময় আছে তাতে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীকে গুরুত্ব দিয়ে পুণর্মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হোক। সে ক্ষেত্রে যদি কম নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয় তাও হোক।

Advertisement
Advertisement

শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, মূল্যায়নের যে পদ্ধতি ঘোষণা করল তাতে প্রকৃত মেধা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা তাদের মর্যাদা পাবে না। এর ফলে শিক্ষার গুণগত মান নষ্ট হবে। সবাই ভালো নম্বর পাবে কিন্তু কে ভালো কে মন্দ তা সঠিক ভাবে বোঝার উপায় থাকবে না। নবম শ্রেণিতে অনেকের পরীক্ষা ভালো হয়না। তারা মাধ্যমিকে গিয়ে ভালো নম্বর পায়। এরকম ছাত্র-ছাত্রীও রয়েছে অনেক। তাদের মূল্যায়ন যথার্থ হবে না।

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Education news

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.