ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : অর্থের অভাবে থমকে গিয়েছে ঘাটালের ইলেকট্রিক চুল্লি তৈরির কাজ। আরও ৫০ লক্ষ টাকা অনুদানের অপেক্ষায় পূর্ত দপ্তর। জানা গিয়েছে ২০২০ সালে রাজ্য সরকার ঘাটালে ইলেকট্রিক চুল্লি তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। সেইমতো প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার প্রকল্প তৈরি করা হয়। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে এই কাজ শুরু হয়। বর্তমানে প্রায় ৭০ ভাগ কাজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওই শ্মশান থেকে ঘাটাল রাজ্য সড়কে ওঠার জন্য রাস্তা নির্মাণ, বন্যার কথা মাথায় রেখে চুল্লি উচু করা সহ বিভিন্ন কাজের জন্য আরও প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
প্রকল্প রূপায়নের দায়িত্বে থাকা পূর্ত দপ্তর নতুন করে আরও ৫০ লাখ টাকার এস্টিমেট পাঠিয়েছে। ওই টাকার এখনও অনুমোদন আসেনি। ফলে কাজ কার্যত অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। জানাগেছে, বর্ষায় জলমগ্ন হয় ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। বসতবাড়ি, শ্মশান ও এলাকার বিভিন্ন উঁচু জায়গায় জল থৈ থৈ করে। ওইসময় কেউ মারা গেলে সমস্যার শেষ থাকেনা শোকার্ত পরিবারের। সেকারণে, রাজ্য সরকার ঘাটাল শহরে ইলেকট্রিক চুল্লি তৈরিতে আর্থিক বরাদ্দ করেছে।
আরও পড়ুন : রাজ্য সরকারের প্রায় তিন কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ পেল ঘাটাল পুরসভা
আরও পড়ুন : কয়েকবছরে অনেকটাই বদলেছে বীরসিংহ! সাড়ে ১১ কোটি টাকার ২০ টি প্রকল্পের শিলান্যাস আগস্ট মাসে
Ghatal Electric Cremation
ওই টাকায় প্রায় ৭০ ভাগ কাজও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বন্যাপ্রবণ এলাকায় ওই চুল্লির কাজ সম্পূর্ণ করতে হলে আরও অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন। তাই পূর্ত দপ্তর মাস সাতেক আগে আরও ৫০ লক্ষ টাকা চেয়ে নতুন এস্টিমেট পাঠিয়েছে। কিন্তু ওই টাকার অনুমোদন না আসায় মাঝপথে চুল্লি তৈরির কাজ কার্যত থমকে গিয়েছে। চলতি বছরে ওই কাজ সম্পন্ন হবে কিনা তানিয়ে বিভিন্ন মহলে সংশয় তৈরি হয়েছে। যদিও প্রশাসনের তরফে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
ঘাটালের বাসিন্দাদের অনেকেই বলেন বন্যাপ্রবণ ঘাটালে ইলেকট্রিক চুল্লির প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিনের। রাজ্য সরকার মানুষের দাবি মেনে এই চুল্লি তৈরির কাজ শুরু করেছে। কিন্তু দু’ বছর ধরে কাজ চলছে। এখনতো দেখছি কাজ কার্যত বন্ধ। এভাবে ফেলে না রেখে দ্রুততার সঙ্গে এই কাজ সম্পন্ন করা প্রয়োজন। ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত ইলেকট্রিক চুল্লির বাকি কাজ সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন : ব্রিটিশ আমলের বাণিজ্য নগরী খড়ার শহরের রমরমা কাঁসা -পিতল শিল্প এখন বিলুপ্ত
আরও পড়ুন : কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দুই যুবকের ফাঁসি ও এক মহিলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Ghatal Electric Cremation
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper