Diwali
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: হাতে Android Mobile ফোন ও Online Game এ ব্যস্ত অধিকাংশ শিশু। এতে অনেকটাই বিপন্ন হচ্ছে শৈশব। দলবেঁধে মাঠে খেলা নেই, জমিয়ে গল্প করা নেই, শুধু মাথা গুঁজে আছে অ্যান্ড্রয়েডে। করোনার জন্য দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধ স্কুল। অতি সচেতন অভিভাবকরা শিশুদের ওপর নানারকম বিধিনিষেধ চাপিয়ে রেখেছে। ফলে শৈশবের নানান কর্মকাণ্ড ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে শিশুমন থেকে। এরকমই একটি হল দেওয়ালি ঘর তৈরি। দীপাবলীতে দেওয়ালি তৈরি করে তাতে প্রদীপ বা মোমবাতি লাগিয়ে শিশুদের মজা করতে খুব কমই দেখা যাচ্ছে ইদানীং।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুরে বেসরকারি নির্ণয় হাসপাতালে হামলার অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়ের কর্তৃপক্ষের
আরও পড়ুন:- দাসপুরে নদীবাঁধে ফাটল, তলিয়ে গেল বহু বাড়ি, পরিদর্শনে বিধায়ক,এসডিও
দুর্গাপূজার পরপরই ইট কাদা দিয়ে থাকে থাকে গেঁথে দেওয়ালি তৈরি করার রেওয়াজ ছিল গ্রামবাংলায়। ইট কাদা দিয়ে গেঁথে কেউ দোতলা, কেউ তিনতলা বা তারও বেশি ঘর তৈরি করত। সেটা শুকিয়ে গেলে নানান রঙে লতাপাতা ছবি আঁকা হত। পরবর্তীকালে পিচবোর্ড, থার্মোকল দিয়ে দর্শনীয় দিওয়ালি ঘর বানাতো কেউ কেউ। কিন্তু কাদের বাড়ির দেওয়ালি ঘরটা সুন্দর হবে এ নিয়ে রেষারেষি চলত । কখনও কখনও অভিভাবকরাও দেওয়ালি ঘর তৈরি করে দেন বা শিশিদের সহযোগিতা করেন। প্রায় পাঁচ থেকে ছয় দিন ধরে দেওয়ালী ঘর তৈরি করা এবং দীপাবলির সন্ধ্যায় তাতে প্রদীপ জ্বালানোর মধ্যে কতখানি আনন্দ পেত শিশুরা সেটা এখনকার ব্যস্ত শিশুরা উপলব্ধি করতে পারবে না।
Diwali
আরও পড়ুন:- কালীপুজোয় মাটির প্রদীপের কদর কমেছে, তবুও আশাবাদী মৃৎশিল্পীরা
এখনতো আবার রেডিমেড দেওয়ালি ঘর বিক্রি হচ্ছে। অভিভাবকরা কিনেও আনছেন। কিন্তু দেওয়ালি তৈরির মজাটা থেকেই বঞ্চিত হয়ে যাচ্ছে শিশুরা। তবে সব জায়গার একই রকম চিত্র নয়। দেওয়ালি ঘর তৈরি করার প্রবণতা সিংহভাগ কমে গেলেও কিছু কিছু জায়গায় এখনো শিশুরা দেওয়ালি ঘর তৈরি করে প্রতিবছর। এবার শহরের নতুনবাজার, বাসস্ট্যান্ড, টাউন কলোনি, উদয়পল্লী প্রভৃতি এলাকায় এছাড়াও সদর ব্লকের খায়রুল্লা চক, কঙ্কাবতী প্রভৃতি এলাকায় দেওয়ালি ঘর তৈরিতে মেতেছে একঝাঁক শিশু।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর শহরে অবৈধ গ্যাস গোডাউনে হানা পুলিশের
আরও পড়ুন:- ভর্তি না নিয়ে প্রসূতিকে ফেরানোর অভিযোগ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে
দেওয়ালি ঘর তৈরির নির্দিষ্ট কোনো গঠনশৈলী নেই। যার যেমন খুশি যেভাবেই তৈরি করতে পারে। কাদা দিয়ে ইট গেঁথে গেঁথে ধাপে ধাপে ঘরের ওপর ঘর তৈরি করে দেওয়ালি গড়ছে শিশুরা। অভিজ্ঞরা বলছেন, এতে শিশুদের কল্পনাশক্তি, দলবদ্ধভাবে কাজ করার মানসিকতা, একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়। দেওয়ালি তৈরীর মধ্যে শিশুদের সৌন্দর্যবোধও প্রকাশিত হয়। কঠিন প্রতিযোগিতার যুগে বর্ণময় শৈশব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বহুশিশু। সেই জায়গায় শিশুদের এমন সৃষ্টি মানসিকতা ভালো দিক সন্দেহ নেই ।
আরও পড়ুন:- পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা যাত্রা, সাইকেল চালিয়ে ১০৬ কিলোমিটার পাড়ি দিলেন মেদিনীপুর রেঞ্জের আধিকারিক
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Diwali
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: Most of the children are busy with Android Mobile Phone and Online Game. Childhood is endangered a lot. As a result, there is no team play on the field, there is no frozen story, only heads are stuck on Android. School closed for about a year and a half long for Corona. Very conscious parents have imposed various restrictions on children. As a result, various activities of childhood are gradually lost in the child’s mind. One such building is the wall house. Lately, it is rare to see children making fun of Diwali by making Diwali or putting lamps or candles in it.
Immediately after Durga Puja, it was customary in rural Bengal to make Diwali with bricks and mud. Some people used to build two-storied, three-storied or more houses made of bricks and mud. When it dried, herbs were painted in different colors. Later, some people used to build spectacular Diwali houses with cardboard and thermocol. But there was a dispute over who would have the most beautiful wall in the house. Sometimes the guardians also build the wall house or cooperate with the vials. The busy children of today will not be able to realize how much joy they enjoyed in building a Diwali house for about five to six days and lighting a lamp in it on the evening of Diwali.
Readymade Diwali houses are still being sold again. Parents are also buying. But children are being deprived of the fun of making Diwali. But not all places have the same image. Although the trend of building Diwali houses has come down a lot, in some places children still build Diwali houses every year. This time in the city’s Natunbazar, Bus Stand, Town Colony, Udayapalli, etc., as well as in the Khairulla Chowk, Kankabati, etc. in the Sadar block, a group of children has met to build Diwali houses.
There is no specific structure for building a wall house. Who can create as he pleases? The children are building a wall over the house step by step by building bricks with mud. Experts say that it increases children’s imagination, teamwork and concentration. Children’s sense of beauty is also expressed in making Diwali. In the age of tough competition, many children are being deprived of colorful childhood. Because of that, there is no doubt that the creative minds of the children in that place are a good aspect.