Dilip on inspection
আরও পড়ুন ঃ–কেশিয়াড়ী পার্ক ‘প্রত্যুষা’-র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক
পত্রিকা প্রতিনিধি: শরীর সুস্থ ও তরতাজা রাখাই মূল লক্ষ্য।তাই রামনগরের জনসভার আগে এগরায় রাত্রীনিবাস সেরে শনিবার ভোর সকালে এগরা শহরে প্রাতঃভ্রমণ সারলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।এদিন প্রাতঃভ্রমণের
পাশাপাশি তিনি এগরা পুরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ডোমপাড়া এলাকায় কয়েকদিন আগে কয়েকটি বসতি বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এরপর তিনি সেই পুড়ে বাড়িগুলি পরিদর্শন করেন এবং ওই ডোমপাড়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলেন ও পরবর্তী দিনে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।পাশাপাশি এদিন প্রাতঃভ্রমণ এগরা ২ব্লকের বালিঘাইতে এসে চায় পে চর্চায় বসলেন তিনি।বেশ কয়েকঘন্টা ধরে স্থানীয় মানুষজন ও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।তবে এদিন চায় পে চর্চায় পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন এগরা পুরসভার প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান ও প্রাক্তন কাউন্সিল বিশ্বজ্যোর্তি মাইতি সহ শতাধিক তৃণমূল কর্মী।
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন,রাজ্যে একাধিক দুর্নিতীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করছি।পশ্চিমবাংলায় নারী নির্যাতন,দুর্ণীতি,রাজনৈতিক হিংসা এই অন্যায় থেকে বাংলাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা একটি অভিযান শুরু করেছি আর নয় অন্যায়।আর তার সূচনা করবো এগরা থেকে।তিনি আরও বলেন, বিজেপি কাউকে ভয় দেখায় না ও ভয় পায়ও না।পুলিশ,গুণ্ডা, কেস দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে।কিন্তু আমরা ভয় পায়নি।বাংলার মানুষ পরিবর্তন চাইছে।
তাই এই স্বৈরাচারী, দুর্নীতিগ্রস্থ সরকার মানুষ আর চায় না।দিদিমনি এখন ভয় পাচ্ছেন কারন তার বিরুদ্ধে জনজাগরণ হচ্ছে, এটাই তার ভয়ের আসল কারন।আর সেই জাগরণ উনাদের পার্টির মধ্যেও শুরু হয়ে গিয়েছে।এখন তৃণমূলের ভেতর থেকে পরিবর্তন হওয়া শুরু হয়েছে।তাছাড়া এখন বাংলায় মুষল পর্ব শুরু হয়েছে গিয়েছে।আর এই মুষল পর্ব দিয়ে যদু বংশের ধ্বংস হয়েছিল।কিন্তু এখন সেই মুষল পর্ব এবার কাঁথি থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে।
এখন তৃণমূলের মধ্যে বিল্পব শুরু হয়ে গিয়েছে।আর সেই বিল্পব এখন সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।আর এখন বাংলায় নারীদের কোন সম্মান নেই।আর সেই নারীরা এখন সবচেয়ে বেশি অসুরক্ষিত।তাছাড়া এখন যিনি মুখ্যমন্ত্রী তিনি এখন মাতৃজাতীর প্রতিনিধি,তাকে সবাই মা’ই বলতেন।তবে তিনি ক্ষমতায় আসার পর এখন হঠাৎ করে দিদি থেকে মা হয়ে গেলেন।এখন তিনি দিদিমনি।উনি বলেছেন আমাদের চার প্রজন্ম তৈরি আছে,আমরা জানি উনার নাতি নাত্নি হয়েছে গিয়েছে ,মানে তা চার প্রজন্ম।তাই তিনি বলেই দিলেন তৃণমূলে কেউ নেতা হতে পারবেন না।তাছাড়া শুভেন্দু বাবু যতই লাফান উনাকে কর্মচারী হয়ে থাকতে হবে,নেতা হতে গেলে বিজেপিতে আসতে হবে।কারন চাষাবাড়ির ও চাওয়ালা ছেলেদের বিজেপি নেতা তৈরি করে।আর তৃণমূলের মধ্যে নেতা শুধু কালীঘাটেই হয়।
এদিন বিজেপিতে যোগদান করে এগরা পুরসভার প্রাক্তন উপপুরপ্রধান বিশ্বজ্যোর্তি মাইতি বলেন, আমি একটি দমবদ্ধ পরিবেশের মধ্যে ছিলাম। তাই খোলা হাওয়ায় রাজনীতি করার জন্য বিজেপিতে যোগদান করলাম। তাছাড়া তৃণমূলে থেকে মানুষের উপকার ও সমাজ সেবা করা যাচ্ছে না। তাছাড়া বিজেপি এখন ভালো ভালো কাজ করছে এবং মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে আর সেই কাজে সামিল হতে পারি তাই এই যোগদান। তাছাড়া আজ থেকে বিজেপির সক্রিয় কর্মী হয়ে আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Dilip on inspection
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore