আরও পড়ুন ঃ-এগরায় খালের জলে ভেসে এল তাজা বোমা ! আতঙ্ক এলাকায়
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ ‘যশ’ (Yass) ও ভরা কোটালের জন্য ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক জেলা প্লাবিত। বুধবার সকাল ৯টা থেকে প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে চলে ‘যশ’ এর ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া। আর তার জেরে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে দিঘা (Digha) । উত্তাল হয়েছিল দিঘার সমুদ্র। তবে এখন অসম্ভব তাণ্ডবলীলার পর যেন অদ্ভূত নিঃস্তব্ধতা গ্রাস করেছে দিঘাকে। আর দিঘা, স্তব্ধ হয়ে একবুক ধ্বসের চিহ্ন নিয়ে সে দাঁড়িয়ে আছে। তবে আবার কবে সে আগের মতো সেজেগুজে উঠবে তা সে নিজেও জানে না।
তবে ‘যশ’ (Yass) এর দাপট কমলেও পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের প্রবল জলচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে দিঘায়। তবে ইতিমধ্যেই ব্যাপক বৃষ্টিপাতে ভেসে যাচ্ছে দিঘা। এমনিতেই লকডাউনের জেরে এই মুহূর্তে এই জনপ্রিয় পর্যটনস্থলে কোনও পর্যটক নেই, তার উপর প্রবল বৃষ্টিপাতে রাস্তাঘাট আরই ফাঁকা। সেইসঙ্গে সমুদ্রে তৈরি হচ্ছে ব্যাপক জলোচ্ছাস। তীব্র আক্রোশে সমুদ্রের একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়ছে বোল্ডারের উপর। আর রয়েছে ভয়ঙ্কর ঝোড়ো হাওয়া। তবে ইতিমধ্যে দিঘার বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি (Purnendu Maji ) ,সঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে ( Amarnath K ) সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা ।
তাছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অর্থনীতিতে দিঘার ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না একদমই। এখানকার পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জেলার অনেক মানুষের জীবন। আবার পাশের ওড়িশার কয়েকশো মানুষের রুটি রুজির জায়গাও এই দিঘা (Digha) । সেই সৈকতনগরী এখন ধ্বংসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দিঘায় বিচের ধারে যে রাস্তা দিয়ে পর্যটকরা ঘুরে বেড়ান সেই গোটা চত্বরটাই এদিন দেখা গেল একদম অন্য রূপে। বড় বড় পাথর সব উড়ে এসে পড়েছে রাস্তার ওপর। ভারী পাথরের যেন বর্ষণ হয়েছে রাস্তায়। হাওয়া আর ঢেউয়ের ঝাপটায় পাথর উড়ে এসেছে পড়েছে কয়েকশো মিটার দূরে। ভেঙেছে একাধিক দোকান। স্থানীয়রা বলছেন, ঝড় প্রচুর হয়েছে।
আম্ফানের বিপর্যয় আরও বেশি ছিল। কিন্তু এভাবে পাথর উড়ে রাস্তায় এসে পড়ার বিষয়টা এতটা এর আগে দেখা যায়নি। দিঘায় ভেঙেছে একাধিক মাটির বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অজস্র দোকানের শাটার ও ভেতরে থাকা জিনিসপত্র। সৈকতের ধারেই থাকা অজস্র অস্থায়ো দোকানের এখন আর কোনও চিহ্নই নেই। বহু হোটেলের ভিতরে জল ঢুকেছে। জল ঢুকেছে বহু রেস্টুরেন্ট ও বারেও। এদিন দুপুরেও রয়েছে ভরা কোটাল। তার জেরে আবারও সৈকতনগরী ডুবন্ত শহরের চেহারা নেয় কিনা সেটাই এখন দেখার।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Exam
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore