পত্রিকা প্রতিনিধিঃ ভোটমুখী বাংলায় মানুষের মনে ভয় ধরাচ্ছে করোনা। এ রাজ্যে ইতিমধ্যেই করোনা দ্বিতীয় ঢেউ কার্যত শুরু হয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জেলাও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই মেদিনীপুর সহ ঝাড়গ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২১৫ জন। ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৫৬ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে জন , পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৫৬ জন ও ঝাড়গ্রাম জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ জন বলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে। তবে ভোটের বাংলায় চোখ রাঙাচ্ছে করোনা।
লকডাউন এখন অতীত। আট দফায় ভোট চলছে বাংলায়। মিটিং-মিছিল-পদযাত্রা, জোরকদমে চলছে প্রচার। আর প্রচারের সেই জমায়েতে স্বাস্থ্য বিধির দফা-রফা! সামাজিক দূরত্ব তো দূর অস্ত, বেশিরভাগ মানুষ আর মাস্ক পরারও আর প্রয়োজন মনে করছেন না। ফলে দ্বিতীয় দফায় দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড ভাঙছে করোনাভাইরাস।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে লাগাতার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যেই নবান্নে মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও। সেই বৈঠকের পরই রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালগুলিকে গত বছরের থেকে ২০ শতাংশ বেশি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি করতে বলা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষদের। এর পাশাপাশি যে বিষয়গুলিতে জোর দিতে বলা হয়েছে তা হল মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের নাগরিকদের মধ্যে আরটিপিসিআর পরীক্ষার বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনবহুল এলাকায় অযথা ভিড় দেখলেই জারি করা হবে নিষেধাজ্ঞা। করোনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাওয়া হবে। রাজ্যের যে সমস্ত জেলায় ভোটপর্ব মিটে গেছে সেখানে করোনা সচেতনতা আরো বাড়িয়ে তুলতে হবে।
করোনা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করা হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই করোনা নিয়ে বিন্দুমাত্র সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। মাস্ক পরার কথা বলা হলেও অনেকেই তা মানছেন না। অযথা ভিড় করতে বারণ করা হলেও সেটাও মানছেন না। শারীরিক দূরত্ব এবং সামাজিক দূরত্ব মানাছেন না কেউই। যা নিয়ে চিকিৎসকরা শঙ্কা প্রকাশ করছেন। এখনও যদি সচেতন না হয় নাগরিকরা সেক্ষেত্রে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ আরও ভয়ানক রূপ ধারণ করবে রাজ্যে।