পত্রিকা প্রতিনিধি: করোনার থাবায় ধুঁকছে বাংলার তাঁত শিল্প, চরম সংকটে তাঁত শিল্পীরা। দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের রামজীবনপুর পৌর এলাকার ২৬০টি পরিবারের।
মাস ছয়েক আগেও তাঁতকল এর ঘরঘর শব্দে গমগম করত গোটা এলাকা। তাঁতের তৈরি শাড়ি রামজীবনপুর থেকে পৌঁছে যেত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে আজ সবই অতীত। করোনা পরিস্থিতিতে নেই কাঁচামালের যোগান, বন্ধ প্রোডাকশন। মন্দা নেমে এসেছে তাঁতের বাজারেও। ফলে অন্ধকারের পথে রামজীবনপুরের অতি প্রাচীন এই তাঁতশিল্প।
বাড়িতে লাখ করে পড়ে রয়েছে তাঁতের শাড়ির থাক, তবে ক্রেতা কোথায়! করোনা আবহে এই চিন্তায় কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে তাঁত শিল্পীদের।
এলাকার প্রতিষ্ঠিত তাঁত শিল্পীদের দাবি, পুজোয় প্রতিবছরই ব্যাপক চাহিদা থাকে এই তাঁতের শাড়ির। মেদিনীপুর তো বটেই এমনকি কলকাতা, ধনেখালি সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আমদানি হয় রামজীবনপুর এর তাঁতের শাড়ি। তবে চলতি বছরে করোনা পরিস্থিতির কারণে অর্ডার দিতে রাজি নয় মহাজনেরাও।
এই পরিস্থিতিতে সরকার পাশে দাঁড়ালে তবেই মিটবে সমস্যা, দাবি তাঁত শিল্পীদের। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আশায় দিন গুনছে তাঁত শিল্পের সাথে যুক্ত রামজীবনপুর এর ২৬০টি পরিবার। যোদিও চন্দ্রকোনা বিধান সভার বিধায়ক ছায়া দোলই বলেন “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য বাসীর পাশে সবসময় আছে,এবং ওই পরিবার গুলোর পাশে আমরা সবসময় থাকবো।