পত্রিকা প্রতিনিধি :একটা সময় ছিল,যখন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানস-কন্যা বলা হত।আর ভারতী ঘোষও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রকাশ্য সভায় ‘জঙ্গলমহলের মা’ বলে অভিহিত করেন। কিন্তু, তারপরে কপালেশ্বরী-কেলেঘাই দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। ‘মা-মেয়ের’ সম্পর্কে এখন বহু যোজনের ফারাক।
তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ জানিয়ে ভারতী ঘোষ এখন গেরুয়া শিবিরে। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিআইডি ফাঁক খুঁজছেন, কোন পথে ভারতী ঘোষকে গ্রেপ্তার করা যায়। এত সবের মাঝেও লোকসভা নির্বাচনে ভারতী ঘোষ ঘাটালের হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী দেবকে প্রায় হারিয়ে দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র কেশপুরের প্রায় লক্ষাধিক ব্যবধান দেবকে পুনরায় দিল্লি পাঠায়।
এমতাবস্থায় মঙ্গলবার কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির উদ্যোগে, ভারতী ঘোষের হাত ধরে ভগবানপুর বিধানসভার শিমুলিয়া পঞ্চায়েতের ভীমেশ্বরী,কলাবেড়িয়া এলাকা থেকে প্রায় ৪০০জন মহিলা তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন করেন।
এদিন ভারতী ঘোষ বলেন, আজ সময় এসেছে,আসুন সবাই মিলে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে তাদের সুখ দুঃখের সাথী হিসাবে পাশে থেকে স্বেচ্ছাচারী,অগণতান্ত্রিক তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পশ্চিমবঙ্গের মাটি থেকে মূলচ্ছেদ করে,ভারতীয় জনতা পার্টির সুশাসন সরকার প্রতিষ্ঠা করে পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র ও মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনি।
ভারতী দেবীর বক্তব্য অব্যবহিত পর ভারতীয় জনতা পার্টি কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন গৃহ সম্পর্ক অভিযানে মানুষের কাথে পৌঁছে তৃণমূল কংগ্রেসের অপশাসন সহ দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়গুলি আরও সুপরিস্ফূটভাবে তুলে ধরে,এই অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী দলটিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিতাড়িত করে,ভারতীয় জনতা পার্টির বিজয় কেতন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে,সেই লক্ষ্যে প্রত্যেক দলীয় কার্যকর্তা ও সমর্থকগণকে ব্রতী হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি।