Cesarean Delivery Service : সিজার পরিষেবা চালু হল চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। খুশি রোগীর পরিজন থেকে চিকিৎসকরা। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের। সাড়ে তিনবছর পর সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের দরজা খুললো এবং এদিনই এক প্রসূতি মহিলার সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব হল।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : চিকিৎসকের অভাবে দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর বন্ধ ছিল সিজার পরিষেবা। ফের সিজার পরিষেবা চালু হল চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। খুশি রোগীর পরিজন থেকে চিকিৎসকরা। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের। সাড়ে তিনবছর পর সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের দরজা খুললো এবং এদিনই এক প্রসূতি মহিলার সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব হল।
আরও পড়ুন : কঠিন শ্রমের ফল, UPSC তে ৯৪ তম স্থানে মেদিনীপুরের ইন্দ্রাশিস
আর এতেই খুশি দুরদুরান্ত থেকে আসা রোগীর পরিজনেরা। এমনকি পুনরায় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার চালু হওয়া এবং সফল ভাবে এক প্রসূতির সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবে খুশি চিকিৎসক থেকে নার্সরাও।গড়বেতা থানার ফতেগঞ্জ গ্রামের প্রসূতি রঙ্কিতা পান সোমবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে সিজার দীর্ঘ দিন ধরেই বন্ধ সেটা তার পরিবারের লোকজন যানতেন। ভেবেছিলেন এই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হয়তো মেদিনীপুর বা ঘাটাল হাসপাতালে তাদের রেফার হতে হবে কারণ হাসপাতালের সিজার পরিষেবা বন্ধ।
আরও পড়ুন : ৪০০ কৃষকের ১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ঝাড়গ্রামের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ২ মধ্যস্থতাকারীর বিরুদ্ধে
চন্দ্রকোনা থেকে মেদিনীপুরের দুরত্ব ৪২ কিমি আর চন্দ্রকোনা থেকে ঘাটালের দুরত্ব ২৪ কিমি।এই সাড়ে তিন বছর সিজার পরিষেবা বন্ধ থাকায় হাসপাতালে আসা প্রসূতি মহিলাদের চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে এতোটা পথ পেরিয়ে মেদিনীপুর বা ঘাটাল স্থানান্তরিত হতে হত।চিকিৎসকের ঘাটতি মিটিয়ে দীর্ঘ বছর পর হাসপাতালে পুনরায় সিজার পরিষেবা চালু হওয়ায় চোখে মুখে স্বস্তির ছাপ রোগীর পরিজন থেকে চিকিৎসকদের।
আরও পড়ুন : ফল প্রকাশ হাইমাদ্রাসার, নজর কাড়া ফল মেদিনীপুর সদরের এলাহিয়া স্কুলের
জানাযায়,প্রসূতি চিকিৎসক ও অ্যানাস্থিসিস্ট স্পেশালিষ্টের অভাবে বন্ধ ছিল চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে সিজার পরিষেবা, এমনকি পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় অপারেশন থিয়েটারে তালা পড়েছিল।চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একজন প্রসূতি চিকিৎসক জয়েন করেন এবং চলতি মাসেই একজন অ্যানাস্থিসিস্ট স্পেশালিষ্ট জয়েন করেন চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে।দীর্ঘ বছর অপারেশন থিয়েটার বন্ধ থাকায় পরিকাঠামো গত কিছু সমস্যা ছিল তা মিটিয়ে সোমবার পুনরায় চালু হল অপারেশন থিয়েটার এরই সাথে ওইদিনই সিজার পরিষেবাও সফল ভাবেই চালু হল এক প্রসূতি মহিলার সিজারের মাধ্যমে।
দীর্ঘবছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় সিজার পরিষেবা সফল ভাবে শুরু হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্বস্তির ছাপ ধরা পড়লো।সিজারের মাধ্যমে প্রথম প্রসূতি মহিলার সফল ভাবে সন্তান প্রসব হওয়ায় হাসপাতালের তরফে মিষ্টি মুখ করানো হয় ওই প্রসূতির পরিজনদের,মিষ্টি মুখ করান হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স একে অপরকে।প্রথম সিজার হওয়া প্রসূতির পরিবারের পরিজনেরা জানান,ভেবেছিলাম এখান থেকে অন্যত্র রেফার করে দেওয়া হবে হয়তো কিন্তু সিজার পরিষেবা চালু হওয়ায় এবং তা সফল ভাবে সম্পন্ন হওয়ায় তারা খুশি।
আরও পড়ুন : দলের কর্মীর জমি দখল করে জোরপূর্বক তৃণমূলের পার্টি অফিস নির্মাণের অভিযোগ পশ্চিম মেদিনীপুরে
এর জেরে চন্দ্রকোনা’ই নই আশপাশের গড়বেতা,কেশপুরের একাধিক অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি মিটলো।হাসপাতালের বিএমওএইচ ডঃ স্বপ্ননীল মিস্ত্রি জানান,মুলত চিকিৎসকের অভাবে সাড়ে তিন বছর বন্ধ ছিল সিজার পরিষেবা,তারপরে একজন গাইনোকোলজিস্ট পরে একজন অ্যানাস্থিসিস্ট দেওয়া হয়।অপারেশন থিয়েটার এখনও পুরোপুরি রেডি করা যায়নি এখনও কিছু পরিকাঠামো গত সমস্যা রয়েছে তবে আমরা যতোটা পেরেছি তা মিটিয়ে সাড়ে তিন বছর পর প্রথম সিজার হল সফল ভাবে।
হাসপাতালে বর্তমানে একজন করে গাইনোকলজিস্ট,অ্যানাস্থিসিস্ট রয়েছে,সপ্তাহে সাত দিন সিজার পরিষেবা সচল রাখতে এই পদে আরও চিকিৎসক প্রয়োজন,সিএমওএইচ’কে জানানো হয়েছে আশাকরি তা পেয়ে যাবো।”দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর হাসপাতালে পুনরায় অপারেশন থিয়েটারের দরজা খোলা এবং সিজার পরিষেবা চালু হওয়ায় স্বস্তি ফিরলো চন্দ্রকোনাবাসী তথা রোগীর পরিজনদের।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Cesarean Service
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore