বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : মেদিনীপুর এবং খড়্গপুর শহরের সংযোগস্থলে বহু বছরের পুরোনো একটি সেতু রয়েছে। ভারী যানবাহন চলাচল বিপজ্জনক হয়ে ওঠায় এর আগে সংস্কার করা হয়েছিল। তারপরও অতিরিক্ত ভারি যানবাহন ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। ফলে বিকল্প সেতুর প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। ওই সেতুর পাশেই কংসাবতী নদীর উপর নতুন সেতু নির্মাণ হবে।সেই সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে শতাধিক দোকান এবং বাড়ি ভাঙা পড়বে। যার ফলে চিন্তায় ঘুম উড়েছিল স্থানীয় মানুষজনদের। অনেকের রুজিরুটি ওই দোকানের উপরই নির্ভরশীল। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার দুপুরে মেদিনীপুর সার্কিট হাউস থেকে চৌরঙ্গী দিয়ে ঝাড়গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেই সময় মোহনপুর সেতুর ওপারে মাতকাতপুর এলাকায় পোস্টার, ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন দোকান বাড়ি হারাতে বসা মানুষজন। তাদের দেখে কনভয় থামান মুখ্যমন্ত্রী। কাছে পেয়ে তাদের অভাব অভিযোগ জানান মুখ্যমন্ত্রীকে। বিষয়টি শুনে মুখ্যমন্ত্রী জেলা শাসক খুরশিদ আলী কাদরিকে ডাকেন।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

আরও পড়ুন : দেড় মাস ধরে জলবন্দি ঘাটাল! কেন্দ্রকে দুষলেন মমতা
জেলা শাসককে বলেন, ২০২৬ সালে সেতু তৈরির আগে এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থাৎ মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করে দেওয়া হবে। যাদের বাড়ি ভাঙা পড়বে তাদের বাড়িও নির্মাণ করে দেওয়া হবে। যা খরচ হবে, তার টাকা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এমন আশ্বাসে খুশি ওই এলাকার মানুষজন। স্থানীয় দোকানদার অনন্ত সামন্ত বলেন, “আমরা আমাদের মনের কথা জানিয়েছি। উনিও আমাদের কথায় সাড়া দিয়েছেন। দোকান এবং বাড়ি দুটোই নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন। এটা আমাদের কাছে খুবই আনন্দের এবং আমরা খুবই উপকৃত হব। সেতু নির্মাণে আমরাও সহযোগিতা করব।”

তবে মেদিনীপুর শহর ছেড়ে যাওয়ার আগে কর্ণেলগোলা এলাকায় নারায়ণ বিদ্যাভবনে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির সামনে কনভয় থামান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই প্রকল্পে মানুষজনের সাড়া কেমন, তা দেখতে বিদ্যালয় চত্বরের ভেতরে প্রবেশ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু ভিড় এতটাই বেশি যে তিনি সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। পৌরপ্রধান সৌমেন খানের সঙ্গে কথা বলেন। সৌমেন খান বলেন, “উনি ভেতরে প্রবেশের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ভিড় দেখে প্রবেশ করেননি। খোঁজখবর নিলেন পাড়া সমাধানে উৎসাহ কেমন পাওয়া যাচ্ছে।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Bridge assurance
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspape