বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির পার্টি অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি জেলা সভাপতিকে। এমনকি তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। আবার বর্তমান মন্ডল সভাপতিকে রাস্তায় দৌড় করিয়ে বেল্ট দিয়ে মারার ছবিও ধরা পড়েছে। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্য বিজেপি। দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী অনুগামীদের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব বলে গুঞ্জন। দীঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিন দিলীপ ঘোষের যাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে মেদিনীপুর শহরে। দিলীপ ঘোষের অনুগামী বলে পরিচিত জেলা সভাপতি এবং বেশ কয়েকটি এলাকার মন্ডল সভাপতি গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পার্টি অফিসে ঢুকতে গেলে তাদের বাধা দেয় প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি সুজয় দাস সহ বিজেপির একাংশ। মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন জেলা সভাপতি শমিত মন্ডল। ঘটনার পরের দিনই মেদিনীপুর শহরে একটি কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনিও ওই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

সোমবার দুপুরে পাকিস্তানিদের চিহ্নিত করে তাদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর দাবিতে ধরনা কর্মসূচি ছিল জেলা শাসক দপ্তরের সামনে। সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। তবে অনেকেই মনে করছেন, দিলীপ বা শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের এই মুহূর্তে মেদিনীপুরের কোন কর্মসূচিতে না আনার সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে রাজ্য বিজেপি। জেলা পার্টি অফিসে মারধরের বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি রাহুল সিনহা। বিষয়টি নিয়ে কোন স্তরের নেতা যেন মুখ না খুলে তারও বার্তা দিয়েছেন। তাতে দলেরই ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন তিনি।
আরও পড়ুন : রাতের অন্ধকারে ভাঙলো পানীয় জলের পাইপ, অভিযোগে তীর ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে
এদিনের কর্মসূচিতে রাহুল সিনহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি শমিত মন্ডল, শমিত দাস সহ অন্যান্যরা। জেলা পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল সিনহা বলেন, “পাকিস্তানিদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি এবং তাদেরকে এখান থেকে ফেরত পাঠানোর কাজ চলছে সমস্ত রাজ্যে। অথচ এই রাজ্যে এই কাজ কোনোভাবেই শুরু হয়নি। কোন প্রচেষ্টার লক্ষণও আমরা দেখতে পাচ্ছি না।” পাশাপাশি জেলা পার্টি অফিসে জেলা সভাপতি হেনস্তার ঘটনায় বলেন, “এই বিষয়টি নিয়ে বাইরে কোনো মন্তব্য করব না।
আরও পড়ুন : ইতিহাস স্মরণ করাতে চার বিপ্লবীর নামে মেদিনীপুরের রাস্তার নামকরণ
বিজেপির কোন স্তরের নেতা এই বিষয়ে যেন মুখ না খুলে। না হলে পার্টির ক্ষতি হবে, তৃণমূলের লাভ হবে, পরিবেশ নষ্ট হবে। দিলীপ দার জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়াটা পার্টির কাছে অনভিপ্রেত ছিল, তা কাম্য ছিল না। বিষয়টি সম্পূর্ণ দলীয়ভাবে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। উনার যাওয়া, না যাওয়ার বিষয়টা পার্টি বিচার করবে। সবকিছু ভুলে আগামী দিন এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
BJP clash
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper