Elephant news
আরও পড়ুন ঃ–পশ্চিম মেদিনীপুরে মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ জঙ্গলমহল জুড়ে এখন নিত্য সমস্যা হাতির হানা। জমির ফসল, বাড়ি ভাঙার পাশাপাশি হাতির হানায় ঘটে চলেছে মৃত্যুর ঘটনাও। বন দফতর নজরদারির পাশাপাশি অন্যত্র তাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে হাতির পালকে। সুষ্ঠ ভাবে হাতি না তাড়ানোয় তছনছ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এমনই অভিযোগ বনকর্মীদের। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারী কর্মচারী ফেডারেশন (ফরেস্ট উইং) এর মেদিনীপুর বনবিভাগের পক্ষ থেকে ৪০ টি দাবি নিয়ে রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদাকে একটি ডেপুটেশনও দিয়েছে বলে সংগঠনের দাবি।
মূলত ডেপুটেশনে জোর দিয়েছেন হাতি নিয়ে। সংগঠনের সম্পাদক প্রদীপ হালদার বলেন, “আমরা ফরেস্টের উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের মিলিয়ে বেশ কিছু দাবি রেখেছি বন প্রতিমন্ত্রীর কাছে। বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরে হাতি নিয়ে নাজেহাল বন দফতর। ফিল্ডে হাতি পরিচালনা করতে গেলে অনেক সময় গ্রামবাসীরা বাধা দেন। প্রায় আমাদের গাড়ি ভাঙ্গা হয়, হুলা পার্টির ও আমাদের সরকারি কর্মচারীদের প্রায় শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়। ফলে তারা মানসিকভাবে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং কাজে অনীহা দেখা দিচ্ছে। এতে কৃষকদের ও গ্রামবাসীদের ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাই এবং হাতি তাড়ানোর নামে কোটি কোটি টাকা তছনছ হচ্ছে। এর পরিবর্তে ওই টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির বাজার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী এক মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করলে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারবে। যে কারণে Elephant Management এর জন্য কঠোর আইন সাথে জেল ও জরিমানা উভয়ের দাবিও জানিয়েছি।”
সম্প্রতি হাতির হানায় ঝাড়গ্রামে বাড়ি ভাঙার পাশাপাশি ঘটে চলেছে মৃত্যুর ঘটনাও। ক্ষোভ বাড়ছে বন দফতরের বিরুদ্ধে। বাড়ি, জমির ফসলের ক্ষতিপূরণ ঠিক মতো মিলছে না বলেও অভিযোগ। ফসল অনুযায়ী পার্থক্য নেই ক্ষতিপূরণের। স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষতিপূরণ না পাওয়া মানুষদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে বনকর্মীদের। কখনও হাতি তাড়াতে বা শিকার আটকাতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। বেশ কিছুদিন আগে শিকারের ডিউটিতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছিল মলয় নন্দী নামে এক বনকর্মীকে। হাতি তাড়াতে গিয়ে গুড়গুড়িপাল এলাকায় বন দফতরের গাড়ি ভাঙা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। একে সংখ্যায় কম তারপর আক্রান্ত হওয়ায় কাজে অনীহা দেখা দিচ্ছে।
দ্রুত বন দফতরে কর্মী নিয়োগেরও দাবি জানিয়েছে ওই সংগঠন।কর্মী নিয়োগ না হলে কাজে সমস্যা হচ্ছে। অস্থায়ী কর্মীদের প্রতি মাসে বেতন না পাওয়ারও অভিযোগ। রেঞ্জ ও বীট অফিসগুলিতে নেই কোনো গাড়ি। উদ্ধার কাজে সব থেকে সমস্যায় পড়ছেন বনকর্মীরা। অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে কখন ভাড়া গাড়ি আসবে। বনকর্মীরা নিজেদের গাড়ি ব্যবহার করলেও মিলে না পেট্রোলের খরচ। পকেট থেকে টাকা যায় বলে অভিযোগ।
বীট অফিসগুলি মোটর বাইক ও রেঞ্জ অফিসগুলিতে চারচাকার গাড়ির ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রশান্ত দাস মোহান্ত জানিয়েছেন, জঙ্গল পাহারা, হাতি তাড়ানো, সাপ উদ্ধার সহ বিভিন্ন কাজ করতে হয়। কর্মী সংখ্যা কম থাকায় ঠিক মতো করে উঠতে পারছে না বনকর্মীরা। কারও বাড়িতে সাপ ঢুকলে এমনকি মেদিনীপুর শহরের উপকন্ঠে কোনো ঝোপে যদি রাতে শেয়ালও ডাকে তার জন্য বন দফতরে বারবার ফোন আসছে উদ্ধার করার জন্য। গাড়ি না থাকায় সময়ে পৌঁছাতে যা অসম্ভব হয়ে উঠছে। তিনি বলেন আমরা কর্মী নিয়োগ, বনকর্মীদের বেতন বৃদ্ধি, জেলায় হাসপাতাল তৈরি, গাড়ির ব্যবস্থা, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায় Wildlife Squad চালু করা সহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছি। বন প্রতিমন্ত্রী দাবিগুলি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন বলে জানিয়েছেন।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Elephant news
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore