পত্রিকা প্রতিনিধি : রাজার সভা গায়কের বসতবাড়ি জঞ্জালে ঢাকা,চলছে অসামাজিক কাজ।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের চন্দ্রকোনা পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড ভেরবাজার এলাকায় বাসস্থান অষ্টাদশ শতাব্দীর খ্যাতনামা সংগীতজ্ঞ রমাপতি বন্দোপাধ্যায়ের।কথিত আছে,১৮৩১ সালে বর্ধমান রাজা মেহতাব চাঁদ গানে মুগ্ধ হয়ে রমাপতিবাবুকে তার সভা গায়ক করে দেওয়ানী পদ দিয়েছিলেন। chandrakona, chandrakona, biplabi sabyasachi news, medinipur news, latest bengali news
আরও পড়ুন- কার্টুন দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে ৭ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ মামাতো ভাগ্না বিরুদ্ধে
বুধবার দেখা গেলো ভেরবাজারে থাকা ঐতিহাসিক স্থানটি সংস্কারের অভাবে ধ্বংস স্তুপে পরিনত হয়েছে।স্থানীয়দের অভিযোগ,সন্ধ্যা নামলেই বসে মদ জুয়ার আসর চলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ।আনুমানিক প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো চন্দ্রকোনার ওই ঐতিহাসিক স্থান বর্তমানে ধ্বংসের মুখে।ভেরবাজারে উমাপতি মুখোপাধ্যায়ের বাসস্থানটি বর্তমানে লালুবাবুর পাকা নামে পরিচিত।ইতিহাসবীদদের কথায়,চন্দ্রকোনার ভেরবাজার এলাকায় সংগীত পরিবারে ১৮০৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন উমাপতি মুখোপাধ্যায়।বিষ্ণুপুরে রামশঙ্করের কাছে তালিম নিয়ে পরে ওস্তাদ মহম্মদ বক্স,আসমাতুল্লা,বৈদ্যনাথ দুবে পশ্চিমী ওস্তাদদের কাছে সংগীত শিক্ষা নেন।
আরও পড়ুন- একই পরিবারের ৫ জন সহ মেদিনীপুর শহরে করোনায় আক্রান্ত ৩০
রমাপতি মুখোপাধ্যায়ের সংগীত পারদর্শীতা এতোটাই ছড়িয়ে পড়ে ছিল তৎকালীন বর্ধমান রাজা মহতাব চাঁদ ১৮৩১ সালে হাতি পাঠিয়ে চন্দ্রকোনার বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন সংগীত শিল্পী,কবিয়াল রমাপতি বাবুকে।তারপরই রাজার সভা গায়ক হওয়া এমনকি দেওয়ানী পদও দিয়েছিলেন।রমাপতি বাবু বাংলা,পার্সি,সংস্কৃত ভাষায় পারদর্শী ছিলেন।১৮৬২ সালে সংগীতের মুলে বাংলায় অনুবাদ প্রথম বই সংগীতাদর্শ রচনা করেছিলেন রমাপতি।
আরও পড়ুন- IIT খড়গপুরের ৩ জন সহ রেলশহরে মোট করোনায় আক্রান্ত ২২
তার স্ত্রী ছিলেন করুনাময়ী তিনিও সংগীতজ্ঞ ছিলেন তিনিও বর্ধমান রাজার থেকে মাসিক বৃত্তি পেতেন।রমাপতি যে রাগে গান রচনা করে গাইতেন তার ঠিক উল্টো রাগে গান করতেন স্ত্রী করুনাময়ী।বর্তমানে রমাপতি মুখোপাধ্যায়ের উত্তরসূরীরা রয়েছেন বর্ধমানেই,চুনসুরকির ইঁটের তৈরি সুবিশাল দালান বাড়ি ভগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে চন্দ্রকোনার ভেরবাজারে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi