পত্রিকা প্রতিনিধিঃ চলে গেলেন জগন্নাথ ঘোষ। মেদিনীপুর জজকোর্টে প্রখ্যাত ব্যবহারজীবী। বয়স ৭৬ বছর। এই বছর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁর পত্নী বিয়োগ ঘটে। পত্নী বিয়োগের পর থেকেই জগন্নাথবাবু শারীরিক ভাবে ভেঙে পড়তে থাকেন। মাঝে কিছুটা সুস্থ হয়ে পড়লেও লকডাউনের মাঝে আবার জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন এবং কিডনিতে সংক্রমণ ঘটে। তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। রবিবার ভর দুপুরে প্রায় ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ জগন্নাথবাবু শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। রাতেই মরদেহ কলকাতা থেকে মেদিনীপুর শহরে তাঁর অরবিন্দনগরের বাস ভবনে নিয়ে আসা হয়। শুভানুধ্যায়ী মানুষের ঢল নামলেও সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরোপকারী মানুষটিকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এদিন রাতেই শহরের পদ্মবতী শ্মশান ঘাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মৃত্যু কালে একমাত্র পুত্র দীপ্তেন্দু একমাত্র নাতি ও পুত্রবাধু রেখে গিয়েছেন। জগন্নাথবাবু শ্রীরামকৃষ্ণ সারদাদেবী ও স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ অনুসরণ করে চলেছনে সারা জীবন। গোপীনাথপুরে সারদা আশ্রমে দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন, শহরের নজরগঞ্জ শ্রী শ্রী তারামা মন্দির, বড়বাজার সারদা মায়ের মন্দির, ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স সংগঠন সহ শহরের বহুপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে যুক্ত ছিলেন। যে কোনও প্রতিষ্ঠান জগন্নাথবাবুর কাছে এলে তিনি কাউকে বিমুখ করতেন না। সাধ্যমতো পাশে দাঁড়াতেন। মৃদুভাষী, সদাহাস্য, দয়ালু স্বভাবের জন্য অখণ্ড মেদিনীপুর জেলার মানুষের মন জয় করেছিলেন তিনি। আইন পেশায় যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।
			115
			
                    
					
			
            
				            
			        
    জগন্নাথ বাবুর প্রয়াণে আইনজীবী সংগঠন সহ বিভিন্ন মহল থেকে গভীর শোকপ্রকাশ করা হয়েছে।
                    previous post
                
                
                     
			        