ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : সাংসদ দীপক অধিকারী তথা দেব-এর জেঠু তারাপদ অধিকারীর (৭১) মৃত্যু। কেশপুরের মহিষদা গ্রামে সেই জেঠুর শেষকৃত্যে বাবাকে নিয়ে হাজির হলেন দীপক অধিকারী তথা দেব। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে দাহ সম্পন্ন হয়েছে শনিবার দুপুরে। আগাগোড়া উপস্থিত থেকে সমস্ত প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবের মুম্বাই যোগাযোগ ও উত্থানের পেছনে মূল কারিগর জেঠু তারাপদ অধিকারী।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
কেশপুরের মহিষদা গ্রামের বাসিন্দা অধিকারী পরিবার একসময় দরিদ্র ছিল। রোজগারের টানে মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন তারাপদ অধিকারী। তারাপদ অধিকারী মুম্বাইয়ে শুটিং ফ্লোরের একটি স্থানে এক ক্যান্টিন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কাজ করতেন। পরে নিজেও ক্যান্টিন খুলেছিলেন সেখানে। এরপর নিজের ভাই গুরুপদ অধিকারীকে রোজগারের জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে শুটিং সম্মিলিত এডিটিং ডাবিং সহ বিভিন্ন কাজে যুক্ত ছিলেন সাংসদদের বাবা গুরুপদ অধিকারী।
Dev
গুরুপদ অধিকারী পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরে চন্দ্রকোনা রোড এলাকায় বিয়ে করলেও দেবের জন্মের দু’বছর পরেই তাকে নিয়ে মুম্বাইয়ে ছিলেন। সেখান থেকেই ফিল্ম জগতের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় দেব-এর। স্থানীয়রা জানান, দেবের জেঠু তারাপদ অধিকারী দেব-এর মূল ভিত্তি প্রস্তর ছিলেন। জেঠু পরে গ্রামে ফিরেছিলেন। তবে ততদিনে দেব ও তার বাবা গুরুপদ অধিকারীর মুম্বাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় হয়ে গিয়েছিল। সেই জেঠু গ্রামে থাকা অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কেশপুর হাসপাতালে মারা যান।
আরও পড়ুন : কেশপুরে ‘বরের’ বাড়ি ঘেরাও করল কন্যাশ্রীরা
আরও পড়ুন : আকাশে অদ্ভুত আলোর ছটা! ‘ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ’, হদিস মিলল Indian Defence সূত্রে
তারাপদ বাবুর এক ছেলে আমেরিকায় থাকেন, আরেক ছেলে ও মেয়ে হাজির ছিলেন কেশপুরেই। এরপরই সাংসদ শেষকৃত্যে উপস্থিত হবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করলে দেহ রাখা হয়েছিল শনিবার পর্যন্ত। শনিবার বেলা আড়াইটা নাগাদ কেশপুরের মহিষদা গ্রামে হাজির হয়েছিলেন দেব তথা দীপক অধিকারী। তার আসার খবর পেয়ে কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন তার গ্রাম সংলগ্ন এলাকায়। দেব-এর উপস্থিত হওয়ার পর শেষকৃত্য পর্ব সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন : ৫ কিলোমিটার দাঁতালকে তাড়া মেদিনীপুরে, ঝাড়গ্রামে হাতির হানায় আহত ব্যক্তি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Dev
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper