বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : প্রতিবছর জমিতে চাষ করলেও সেই ফসল বাড়িতে তুলতে পারেন না কৃষকরা। সমস্তটাই নষ্ট করে দেয় হাতির দল। নিত্য বছর এই সমস্যা দেখে সমাধানের পথ খুঁজতে গিয়ে কৃষকরা কাঁটাতারের বেড়া দিল জমির চারিদিকে। আর ওই জমির পাশে থাকা জঙ্গলেই হাতিদের বাসস্থান। যার ফলে হাতিদের যাতায়াতের পথে বাধা সৃষ্টি হয়ে দাঁড়াতে পারে কাঁটাতারের বেড়া। শুধু হাতি নয়, গবাদি পশুও জখম হতে পারে ওই কাঁটাতারে। বিষয়টি জানার পর নড়েচড়ে বসেছে বনদপ্তর। ওই সমস্ত জমিগুলি বনদপ্তরের জায়গা নাকি ব্যক্তিগত সেই বিষয়েও খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

ঘটনাটি মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়া রেঞ্জের হেতাশোল এলাকায়। ওই এলাকার শুকনাখালির জঙ্গলে হাতিদের বাসস্থান। সেই জঙ্গল লাগোয়া বিঘার পর বিঘা জমিতে ধান চাষ করেন কৃষকেরা। জমির পাশেই রয়েছে বিশাল জলাশয়। জল এবং খাবার একই জায়গায় থাকার সুবাদে শুকনাখালির জঙ্গল হয়ে উঠেছে হাতিদের ডেরা। বিকেল হলেই নেমে পড়ে ধান জমিতে খাবারের খোঁজে।
আরও পড়ুন : ফের বাঁদরের আক্রমণ শালবনীতে, আহত ৩০, আতঙ্কে গৃহবন্দী মানুষজন
আশেপাশের সমস্ত জমির ধান নষ্ট করে দেয় প্রতিবছর। বাড়িতে ধান তুলতে পারেন না কৃষকরা। এবার সেই জমির ফসল বাঁচাতে কাঁটাতারের বেড়া দিলেন জমির চারিপাশে। কোথাও শালগাছে পেরেক দিয়ে কাঁটাতার টানা হয়েছে, কোথাও আবার জঙ্গলের গাছ কেটেই নাকি খুঁটি করা হয়েছে। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে বনদপ্তর। প্রাথমিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে কোনভাবে জঙ্গলের গাছ কাটা যাবে না।
আরও পড়ুন : জন্ডিস আক্রান্ত ১২, গ্রামে স্বাস্থ্য আধিকারিক, সচেতনতার অভাবে কাটছে কপাল

কিন্তু কাঁটাতারের বেড়া কি সরানো হবে? স্থানীয় এক কৃষক জানিয়েছেন, আমার ৬ বিঘা জমিতে ধান চাষ করি। কুড়ি হাজার টাকা খরচ হয়। কোনো বছরই বাড়িতে ধান তুলতে পারিনি। তাই বাধ্য হয়েই কাঁটাতারের বেড়া দিতে হয়েছে।” কিন্তু এই বেড়া হাতির গতিপথে বাধা সৃষ্টি বলে মনে করছে বনদপ্তর। ওই কৃষকদের নিয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে। হাতির করিডরে এভাবে কাঁটাতারের বেড়া দিলে গতিপথে বাধা সৃষ্টি হবে বলেও মনে করছেন অনেকে। যার ফলে গ্রামেও প্রবেশ করে যেতে পারে হাতির দল। চাঁদড়া রেঞ্জ আধিকারিক লক্ষীকান্ত মাহাতো বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। ওই কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Elephant fence
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspape