বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুতে চিকিৎসকদের গাফিলতি রয়েছে। যে কারণেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসকরা তাদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করলে মা ও শিশু দুজনকেই বাঁচানো যেত। এমনটাই জানালো রাজ্য। প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নামে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও সিআইডি। তদন্তকারীদের রিপোর্ট অনুযায়ী মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার সহ ১২জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করল।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
2/6. মৃত প্রসূতি মামণি রুইদাসের পরিবারকে ৫ লক্ষের আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি পরিবারের কেউ চাকরি করতে চাইলে সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও সিআইডির জোড়া তদন্তে গাফিলতির কথা উঠে এসেছে। এরপরেই মেদিনীপুর মেডিক্যালের ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
3/6. উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের বুধবার পাঁচ প্রসূতির সিজার হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মাতৃমা-তে। সেই পাঁচ প্রসূতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। যার মধ্যে শুক্রবার মামণি রুইদাস নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। রেখা সাউ নামে আরেক প্রসূতি সুস্থ থাকলেও বাকি তিনজন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। যার মধ্যে একজন এখনো ক্রিটিক্যাল। ঘটনার পরই হাসপাতাল জুড়ে তুমুল বিক্ষোভ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির। প্রসূতিদের পরিবারেরও দাবি ছিল, দোষীরা যেন কঠোর শাস্তি পায়। যদিও প্রাথমিকভাবে অভিযোগ উঠেছিল কালো তালিকাভুক্ত বিষাক্ত স্যালাইন ব্যবহারে এমন ঘটনা ঘটেছে।
4/6. সেই ঘটনার জোড়া তদন্তের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, “চিকিৎসায় গাফিলতির জন্য মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত কুমার রাউত (এমএসভিপি), সৌমেন দাস (আরএমও), দিলীপ কুমার পাল (সহকারী অধ্যাপক), হিমাদ্রি নায়েক (সহকারী অধ্যাপক), মহম্মদ আলাউদ্দিন (প্রসূতি বিভাগের প্রধান), পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় (সিনিয়র রেসিডেন্ট), মৌমিতা মণ্ডল (পিজিটি), ভাগ্যশ্রী কুণ্ডু (পিজিটি), পূজা সাহা (পিজিটি), মণীষ কুমার (পিজিটি), জাগৃতি ঘোষ (পিজিটি), সুশান্ত মণ্ডল (পিজিটি) এই ১২ জনকে সাসপেন্ড করা হলো।” দায়িত্ব পালন সঠিক ভাবে করা হয়নি। না হলে ওই মাকে বাঁচানো সম্ভব হতো। এমনই জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : Medinipur Hospital : মেদিনীপুর হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুতে ফের উত্তেজনা, তদন্তে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম
আরও পড়ুন : Medinipur Hospital : সিআইডি তদন্ত হোক, তার আগে স্ত্রী যেন সুস্থ হয়ে ওঠে, দাবি অসুস্থ প্রসূতির স্বামীর
5/6. তদন্তে ওই চিকিৎসকদের মধ্যে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসক দিলীপ পালের বিরুদ্ধে। তিনি ওই দিনে পশ্চিম মেদিনীপুরের বালিচকে একই সময়ে অপারেশন করেছেন। আরএমও সৌমেন দাস ডিউটিতে থেকেও নিজে কোনও অপারেশন করেননি। যখন সার্জারিতে ডাকা হয়েছিল সেই সময় একবার মাত্র গিয়ে একজনকে দেখে সেখান থেকে চলে যান। এদিন চিকিৎসকদের স্পষ্ট বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “চিকিৎসককে ৮ ঘণ্টা হাসপাতালে ডিউটি করতে হবে। একজন একই সময়ে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ডিউটি করবেন এটা হয় না। ৮ ঘন্টার পরে তিনি নার্সিংহোম, প্রাইভেট চেম্বার যেখানে খুশি চিকিৎসা করতে পারেন।”
6/6. সাসপেন্ড করায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে চিকিৎসক মহলে। তাদের অভিযোগ, বিষাক্ত স্যালাইনের দায় এড়াতেই চিকিৎসকদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। চিকিৎসকদের সংগঠন ‘মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার’-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক ডাঃ বিপ্লব চন্দ্র এক বিবৃতিতে বলেন, “একদিকে অভয়ার হত্যাকারীদের আড়াল করবার জন্য সেই ৯ আগস্ট থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। আবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে দূষিত রিঙ্গার্স ল্যাকটেট পেয়ে এক প্রসূতির মর্মান্তিক মৃত্যু ও আরো তিনজনের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় রাজ্যের দুর্নীতিগ্রস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই যে মূল দায়ী তা ঢাকবার জন্য শেষ পর্যন্ত ডাক্তারদেরকেই দোষী সাব্যস্ত করে সাসপেন্ড করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যখন প্রয়োজন ছিল দূষিত স্যালাইন সহ সমস্ত ঔষধ অবিলম্বে বাতিল করা এবং ঘটনার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া, তখন সেটা না করে হাসপাতালে চিকিৎসায় নিয়োজিত ১২ জন জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তারদের সাসপেন্ড করার ঘটনায় চিকিৎসকমহল স্তম্ভিত। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং অবিলম্বে ডাক্তারদের উপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।”
আরও পড়ুন : প্রথমবার ছিতামণি মুর্মুর গ্রামে ছত্রধর, শোনালেন জঙ্গলমহলের উন্নয়নের নেপথ্যের কাহিনী
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore Hospital
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper