বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : বনদপ্তরের কাজে গতি আনতে চাইছেন বিভিন্ন রেঞ্জ আধিকারিকরা। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পর্যাপ্ত কর্মীর অভাব। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে বিষয়টি। কবে মিটবে এই সমস্যা তা নিয়ে ধোঁয়াশা। মেদিনীপুর শহরে বনদপ্তরের ডিএফও অফিসের একটি ঘরে ‘ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার ফোরাম’, (পশ্চিম চক্র)-এর সাধারণ মিটিং হলো শনিবার দুপুরে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি বিশ্বনাথ সেনগুপ্ত। আগামীদিনের কর্মসূচির পরিকল্পনা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এদিন। অপ্রতুল কর্মী সংখ্যার মধ্যেও কিভাবে সরকারকে সাহায্য করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়। উপস্থিত হয়েছিলেন, পূর্ব – পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার রেঞ্জ আধিকারিকরা। বিশ্বনাথ সেনগুপ্ত বলেন, “কর্মীর অভাব রয়েছে। তাও আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে সরকারকে সাহায্য করা যায়।”
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
বনদপ্তরের জায়গা দখল থেকে শুরু করে জঙ্গলের গাছ পাচারের ঘটনাও ঘটে চলেছে একাধিক জায়গায়। নজরদারির অভাবের অভিযোগ রয়েছে বনদপ্তরের বিরুদ্ধে। তবে এর মূল কারণ হিসেবে কর্মী সংকটকে দায়ী করছেন বনকর্মী থেকে আধিকারিকদের একাংশ। কোথাও আবার দখল হয়ে যাওয়া জায়গা উদ্ধার করতে গিয়ে হেনস্তাও হতে হচ্ছে বনকর্মী থেকে রেঞ্জ আধিকারিকদের। চলতি বছরের আগস্ট মাসে পূর্ব মেদিনীপুরে মন্ত্রী অখিল গিরি এক রেঞ্জ আধিকারিককে হুমকি দেন। সংগঠনের পক্ষ থেকেও ওই রেঞ্জ আধিকারিকের পাশে দাঁড়ানো হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। বিশ্বনাথ বাবু বলেন, “কর্মীর অভাব রয়েছে। তাও আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে সরকারকে আরো সাহায্য করতে পারি। রেঞ্জ এবং বিট অফিসার নিয়োগ হয়েছে। বনকর্মীও নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। কিছুটা সময় লাগবে। কোথাও রেঞ্জ আধিকারিক হেনস্তা হলে তার পাশে সংগঠন থাকবে।”
Forest Department
আরও পড়ুন : প্লাবিত ঘাটাল, মেদিনীপুর শহরেও বাড়িতে ঢুকলো জল
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
কর্মী সংকটের মধ্যে আবার রেঞ্জ আধিকারিকদের নিজেদের মধ্যেও সুসম্পর্ক নেই বলে একাংশের দাবি। বিশেষ করে এক ডিভিশনের সঙ্গে অন্য ডিভিশনের রেঞ্জ আধিকারিকদের। সেই বিষয়টিও এদিন সংগঠনের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে সুসম্পর্ক বজায় রাখার। দক্ষিণবঙ্গের ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, রূপনারায়ণ, বাঁকুড়া এবং খড়্গপুর বনবিভাগে সবচেয়ে সমস্যা হাতি। নেই এলিফ্যান্ট স্কোয়াড, অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। এই বিষয়গুলিও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছে সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের সভাপতি বিশ্বনাথ সেনগুপ্ত বলেন, “আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, উত্তরবঙ্গের মতো এখানেও এলিফ্যান্ট স্কোয়াড সহ উন্নত সরঞ্জাম এবং অস্ত্রের। আলোচনা চলছে, দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করছি।”
আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Forest Department
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper