বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : একদিকে ঘাটালে বন্যার জলে ডুবে গিয়েছে ঘরবাড়ি, কৃষি জমি, রাস্তাঘাট। ঠিক অন্যদিকে মেদিনীপুর সদরে কংসাবতী নদীর জলে তলিয়ে গেছে বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি। উপার্জনের শেষ সম্বল হারিয়ে কার্যত দিশেহারা মানুষজন। তৎকালীন সাংসদ দিলীপ ঘোষ, তৎকালীন বিধায়ক জুন মালিয়া-কে একাধিকবার জানিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ। শুধুই মিলেছিল আশ্বাস। গত দুদিনের প্রবল বর্ষণে ফুলেফেঁপে উঠেছে কংসাবতী নদীর জল। তারপরেই নদী তীরবর্তী কৃষি জমি তলিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
নদীর পাড়ে এসে দাঁড়িয়ে পড়েছে বাড়িঘর। সেগুলিও যে কোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের ভাটপাড়া, উপরডাঙ্গা, ধজিধরা, কুণ্ডলবনী সহ একাধিক এলাকায় এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। বিগত বেশ কয়েক বছরে হাজারেরও বেশি হেক্টর জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। যেটুকু সম্বল আছে সেটাও চলে যেতে বসেছে প্রতিবছর বন্যায়। প্রশাসনের কাছে একাধিকবার আবেদন জানিয়েছে নদীর পাড় বাঁধানোর জন্য। জনপ্রতিনিধিরাও এলাকায় গেলে তাদের আবেদন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা এই সমস্যার সমাধানে।
স্থানীয় বাসিন্দা সমীর মাইতি বলেন, “তৎকালীন বিধায়ক জুন মালিয়া, সাংসদ দিলীপ ঘোষ আমাদের এলাকায় এলে উনাদের কাছে আমরা এই আবেদন রেখেছি একাধিকবার। কিন্তু ওনারা শুধু আশ্বাসই দিয়ে গিয়েছেন। আজ পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি।” ভাটপাড়া এলাকায় দেখা গিয়েছে নদীগর্ভে চলে গিয়েছে বিভিন্ন ফসলের জমি। তার মধ্যেই যতটুকু পেরেছেন মানুষজন ফসল তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রতিবছর এভাবে বন্যায় নদীগর্ভে জমি তলিয়ে গেলে পরিবারগুলি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?
আরও পড়ুন : প্লাবিত ঘাটাল, মেদিনীপুর শহরেও বাড়িতে ঢুকলো জল
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
অনেকে আবার লোন নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছেন। সেই লোন পরিশোধ করবেন কিভাবে চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে কৃষকদের। তাদের দাবি, সরকার একটি সুরাহা করুক। আমাদের যেটুকু সম্বল ছিল সেটাও নদীতে চলে গিয়েছে। লোন মেটাবো কিভাবে ভেবে পাচ্ছি না। ভাটপাড়া গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য সুনীল মাইতি বলেন, “আমাদের এলাকায় মূলত কৃষি কাজ করেই সংসার চলে মানুষের। সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন জানিয়েও কোন ফল মেলেনি।” তবে সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Paschim Medinipur
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper