বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ ও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে নবান্ন অভিযানের ঠিক আগেই পুলিশের হাতে এলো দুটি ভাইরাল ভিডিও। যেখানে বিজেপি নেতারা একে অপরের সঙ্গে কথোপকথনে বলছেন, “কালকে একেবারে জঙ্গী আন্দোলন প্রয়োজন। যাতে পুলিশ বাধ্য হয় গুলি চালাতে। এক দুটো বডি ফেলতেই হবে। বডি না পড়লে এই আন্দোলন আর বেশি দিন টেনে নিয়ে যাওয়া যাবে না।”
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
ভিডিও হাতে পেয়েই পুলিশ বিজেপির দুই নেতাকে আটক করে জেরা শুরু করে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানান, “দুজনকে ডেকে জেরা করা হচ্ছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড়। ওই ভিডিও দেখা গিয়েছে বিজেপির তিন নেতাকে। তারা হলেন, বিপ্লব মাল, চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের বিজেপির মন্ডল সভাপতি। সৌমেন চ্যাটার্জি, বিজেপির রাজ্য সমবায় সমিতির কো-কনভেনার। বাবলু গাঙ্গুলী, খড়ার পৌরসভার বিজেপির একমাত্র কাউন্সিলর।
Nabanna Abhijan
ওই ভাইরাল ভিডিওতে বিজেপির তিন নেতার কথোপকথনে বলা হচ্ছে, “আগামীকাল এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হবে যাতে পুলিশ বাধ্য হয় রবার বুলেট চালাতে এবং তারপরেই যে পরিস্থিতি হবে তাতে এক দুটো লাশ পড়তেও পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত কোন লাশ না পড়ছে এই আন্দোলন মাইলেজ পাবেনা। পরিস্থিতি যেমনই থাকুক না যেন পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। তেমনি পরিস্থিতি তৈরি করা হবে। তা না হলে এই আন্দোলন আর বেশি দিন টেনে নিয়ে যাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন : ২৪০ টাকায় ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেলা মেদিনীপুরে, দেখে নিন কোন থানা এলাকার বাসিন্দাদের কবে সুযোগ
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
নবান্ন অভিযান শেষ, তারপরেই বন্ধ হয়ে যাবে আন্দোলন। “বিজেপির এই তিন নেতার ভিডিও ভাইরালের পরেই রীতিমতো শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, এই নবান্ন অভিযান ঘিরে আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই বিজেপি বলে এসেছে এই আন্দোলনে সাথে তাদের সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু নবান্ন অভিযানের ঠিক আগেই তিন বিজেপি নেতার ভিডিও ক্লিপ বলছে অন্য কথা। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই ঘাটাল থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে বাবলু গাঙ্গুলী এবং সৌমেন চ্যাটার্জিকে। পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার নিজে জেরা করেছেন তাদের।
যদিও বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটের দাবি, “আন্দোলনে যাতে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা শামিল হতে না পারে তার জন্য পরিকল্পনা মাফিক তৃণমূল পুলিশকে দিয়ে এইসব কাজ করিয়েছে। মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে আমাদের কর্মীদের আটক করা হয়েছে। অবিলম্বে তাদের না ছাড়লে থানা ঘেরাও করবো আমরা।” পুলিশ সুপার ধৃতমান সরকার বলেন, “সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুজনকে আটক করে জেরা করা হচ্ছে।” চন্দ্রকোণা-২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি হীরালাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি সন্ত্রাসের রাজনীতিতেই বিশ্বাসী। তাই তাদের এরকম মন্তব্য ও পরিকল্পনা।”
আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Nabanna Abhijan
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper