ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের সাথে সাথে ঘাটাল কেন্দ্রে বামেদের টেক্কা দিয়ে মূল শক্তির কেন্দ্রে উঠে আসে তৃণমূল। তার পরেও ২০১৪ এর লোকসভা এবং ২০১৬ এর বিধানসভা ভোটে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সাথে লড়াই দিয়েছিল বামেরাই। সেই সময় তৃতীয় স্থানে ছিল বিজেপি। ২০১৬ থেকে ২০১৯ এই তিন বছরের ব্যবধানে বাম কর্মী সমর্থকদের বড়ো অংশের ভোট চলে যায় রামে। ২০১৯ সাল থেকেই লাল ঝান্ডার ভোট বাক্স তলানিতে চলে যায়। তৃণমূলের বিকল্প দ্বিতীয় শক্তির জায়গা দখল করে বিজেপি।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
তারপর থেকেই বাম শিবিরে কার্যত ভাটা চলতে থাকে। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটেও বামেদের ভোট বাক্সে নতুন কিছু সাড়া মেলেনি। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটেও সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করা স্বপ্নই থেকে যায় বামেদের। এবার অষ্টাদশ লোকসভা ভোটের প্রচারে বেরিয়ে বামেদের আশা আগের থেকে ভোট বাক্সে সাড়া মিলবে অনেকটাই। সেই আসাতেই তীব্র দাবদাহের মধ্যেও ঘাটাল শহর সহ গ্রাম গঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছেন বাম প্রার্থী তপন গাঙ্গুলী ও দলীয় কর্মীরা। প্রচারে গিয়ে দেশীয় রাজনীতিতে তৃণমূল ও বিজেপিকে কটাক্ষ করে বাম প্রার্থী তপন গাঙ্গুলী জানান, চটকদারির রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসক দল তৃনমূল এবং কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি।
দেশীয় স্বার্থে মানুষের কথা কেউ ভাবছেন না। তপন বাবু বলেন,এটা দেশের ভোট, দেশের আইন শৃঙ্খলা সহ লোকসভায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আলোচনার ভোট।কিন্তু তৃণমূল ও বিজেপির প্রার্থী তালিকায় অভিনেতা- অভিনেত্রীদের ছড়াছড়ি। দেশের রাজনীতি আর গনতন্ত্রের কিছুই বোঝেন না এই সকল অভিনেতা- অভিনেত্রীরা। এটা গোটা দেশের জন্যই বিপজ্জনক। রাজনীতি না বুঝলে লোকসভায় মানুষের জন্য কি বলবেন এনারা সেটাই বিস্ময়কর বিষয়। উভয় দলের প্রার্থীদের কটাক্ষ করে বাম প্রার্থী তপন গাঙ্গুলী বলেন, ভোট হয়ে গেলেই এনাদের দেখা আর পাওয়া যাবে না। ঘাটালের জন্য অনেক কিছুই রয়েছে ,যা সেই কথা কারো মুখে শোনা যায় নি।
আরও পড়ুন : পুরুলিয়ার চাকরির সিটগুলি মেদিনীপুরের লোককে বিক্রি করেছিল শুভেন্দু?
আরও পড়ুন : নির্বাচনী প্রচারে পশ্চিম মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী
ঘাটালে কৃষকদের স্বার্থে একটি সবজি স্টোর প্রয়োজন, বন্দরে ব্রিজ নির্মাণ করলে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবেন, ঘাটালের অনেক জায়গায় সরকারিভাবে পানীয় জল পরিষেবা নেই। রাস্তাঘাট -এর অবস্থা খারাপ। এই সকল দিকে নজর নেই তৃণমূল ও বিজেপির। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বাম প্রার্থী এদিন বলেন,ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কোনোদিন বাস্তবায়িত করা সম্ভব নয় জেনেও গত ১২ ই ফ্রেব্রুয়ারি আরামবাগের প্রশাসনিক সভামঞ্চে সাংসদ দেবকে সাথে নিয়ে মুখমন্ত্রী হিসেবে তিনি পরিস্কার ভাবে ঘোষণা করেছেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়নের কথা।
এই প্রসঙ্গে তিনি ১২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথাও বলেছিলেন প্রশাসনিক বৈঠকে। কিন্তু পিংলার জনসভা থেকে ২৫ তারিখ তিনি বললেন দেব, জুন এবং ঝাড়গ্রামের প্রার্থী জিতলে তবেই হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। এই ভাবেই মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে। তবে মানুষ সবই বুঝে গেছেন। অপরদিকে,কেন্দ্রের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সহ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবার ঘাটাল কেন্দ্রে বামেদের ভোট আগের থেকে বাড়বে বলে আশাবাদী বামেরা। যদিও বামেদের মন্তব্যকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল ও বিজেপি শিবির।
আরও পড়ুন : ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এবার অভিনেতা বনাম অভিনেতার লড়াই! জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুন : হুটার বাজিয়ে এসকর্ট করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাবে বনদপ্তর, থাকবে কড়া নজরদারি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Lok Sabha Election
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper