Red and white sandalwood tree will be planted in forests of various districts of Jangalmahal including Paschim Medinipur, Jhargram, Bankura.
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া সহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জেলাগুলির জঙ্গলে লাগানো হবে লাল ও শ্বেত চন্দন। তার জন্য চারা তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু বন দফতরে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে নিয়ে ‘বন বান্ধব উৎসব’ পালিত হল পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপগড় ইকোপার্কে। উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, বনদপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিক, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক, পুলিশ সুপার।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
গত দু’বছর করোনা পরিস্থিতির জন্য এই উৎসব পালিত হয়নি। আগে প্রতিটি জেলায় হত। কার্যত ভাঁড়ারে টান পড়ায় দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাগুলিকে নিয়ে একটি ‘বন বান্ধব উৎসব’ হল রবিবার। উদ্বোধন করেন বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই উৎসব মঞ্চ থেকে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করে। রাজ্যে ৫০ জন জঙ্গলমহলের কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে দু’বছর পাবে তারা। পাশাপাশি ৪২ কোটি ৬১ লক্ষ ৫৪ হাজার ১১২ টাকা জঙ্গলের লভ্যাংশ তুলে দেওয়া হয় বন সুরক্ষা কমিটিগুলির হাতে।
Red Sandalwood Tree
বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, আগে ২৫ শতাংশ করে লভ্যাংশ দেওয়া হত, বর্তমান সরকার ৪০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিচ্ছে। তারা যাতে আরও ভালোভাবে জঙ্গল রক্ষার দায়িত্ব পালনে উদ্যোগী হন তার জন্য নানা পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হচ্ছে। ৩২০০০ মানুষকে পাট্টা দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। তবে এবার দক্ষিণবঙ্গেও চাষ হবে লাল ও শ্বেত চন্দনের। তার জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৫০০০, ঝাড়গ্রামে ৬০০০ শ্বেত চন্দন এবং লাল চন্দন ১০০০০ করে চারা তৈরি করা হবে। দক্ষিণবঙ্গে ৬৫০০০ করে চারা তৈরি করা হবে।
বন দফতরের অফিসগুলিতে বনকর্মীর সংখ্যা অনেক কমে যাওয়ায় এক হাজার ফরেস্ট গার্ড নিয়োগ এবং বিভিন্ন রেঞ্জ অফিস গুলিতে বাইক দেওয়ার পাশাপাশি অত্যাধুনিক অস্ত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান বনমন্ত্রী। অন্যদিকে জঙ্গলে গাছ কাটা, আগুন লাগানো রুখতে বিধানসভায় কঠিন আইন আনতে চলেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা, চন্দকোণায় একাধিকবার গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন : আকাশ থেকে হঠাৎ খসে পড়ল বিশালাকার বরফের চাঁই! আতঙ্ক পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায়
আরও পড়ুন : উৎসাহী যুবকদের দেখার নেশায় অতিষ্ট হাতি! ঝাড়গ্রামে ভাঙল গাড়ি, মোটরবাইক ও সাইকেল
হাতির হানা রুখতে করিডর তৈরি হবে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলাতেও। সেকথাও উল্লেখ করে বনমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও হাতির করিডর তৈরি করা হচ্ছে। তার জন্য কেন্দ্র ৪০ শতাংশ, রাজ্য ৬০ শতাংশ খরচ করবে। জঙ্গলমহলে যে দলছুট হাতিগুলি প্রায় লোকালয়ে দিনের আলোয় প্রবেশ করে যাচ্ছে। যাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না বনদপ্তর, সেই হাতিগুলিকে ট্রাঙ্কুলাইজার করা হবে। এমন দশটি হাতির ট্রাঙ্কুলাইজার করার জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুমতি মিলেছে। তার মধ্যে তিনটি হাতির ট্রাঙ্কুলাইজার হয়েছে। হাতির জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়েও সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : উৎসাহী যুবকদের দেখার নেশায় অতিষ্ট হাতি! ঝাড়গ্রামে ভাঙল গাড়ি, মোটরবাইক ও সাইকেল
আরও পড়ুন : উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি তুঙ্গে! পশ্চিম মেদিনীপুরে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০ হাজার ২০৪ জন, পরীক্ষাকেন্দ্র ৭৮টি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Red Sandalwood Tree
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper