Kali Puja 2022 : এগরার বাসাবাড়ির কালী মন্দিরে এখন তুমুল ব্যস্ততা। প্রায় ২৫০ বছর আগে এগরার বাসাবাড়িতে শুরু হয় কালীপুজো। অনেকে নাম না শুনলেও বহু বিগ বাজেটের পুজোর মধ্যে বাসাবাড়ির ওই কালীপূজো পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষের কাছে এক বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। যা আজও প্রাচীন রীতি মেনে হয়ে আসছে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : এগরার বাসাবাড়ির কালী মন্দিরে এখন তুমুল ব্যস্ততা। প্রায় ২৫০ বছর আগে এগরার বাসাবাড়িতে শুরু হয় কালীপুজো। অনেকে নাম না শুনলেও বহু বিগ বাজেটের পুজোর মধ্যে বাসাবাড়ির ওই কালীপূজো পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষের কাছে এক বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে।
কথিত আছে, ভারতের ইংরেজ শাসন কালে অখণ্ড মেদিনীপুরের পিংলা থানার (বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত) গোবর্ধনপুর গ্রামের নবকুমার বসু ইংরেজ সরকারের কাছ থেকে সবং, পিংলা ও পাঁশকুড়া থানার ৫০ টি মৌজার জমিদারি পেয়েছিলেন। নবকুমার বসু পাঁশকুড়ার জমিদার চন্দ্রশেখর বাড়ির কন্যাকে বিবাহ সূত্রে হলুদ তেলে ১৬ টি মৌজার ১৬ আনা তালুক দানে পান। ওই ১৬ টি মহালের জন্য নবকুমার বসু পিংলা থেকে এগরা থানার (বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত) আকলাবাদে আসেন।
এবং জমিদারি দেখভাল এবং রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে তিনি এগরায় অস্থায়ী ছাউনির বাসগৃহ তৈরি করে বছরের কয়েকমাস থাকতেন আবার চলে যেতেন পিংলাতে। সেই থেকে জমিদারদের ওই বাড়ি বাসাবাড়ি নামে পরিচিত। তৎকালীন ধৈর্যের সহিত রাজস্ব আদায় ও প্রজাদের সঙ্গে নিষ্ঠার আচরণের জন্য ইংরেজ বাহাদুর বসু পরিবারকে চৌধুরী উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। বসু চৌধুরী পরিবার ধার্মিক ও নিষ্ঠার পূজারি। তাই এগরার আকলাবাদে বসু চৌধুরী পরিবারের বাসাবাড়িতে তৎকালীন জমিদার নবকুমার বসু চৌধুরী শুরু করেন দক্ষিণা কালীর মাতার পুজো। যা আজও প্রাচীন রীতি মেনে হয়ে আসছে।
Kali Puja 2022
আরও পড়ুন : আবর্জনা ফেলতে মেদিনীপুরে তৈরি হল পরিবেশ বান্ধব আধুনিক ভ্যাট
বাসাবাড়ির পূর্ণভূমিতে পাশাপাশি দুটো পুজা হয়। যদিও এর কারণ আজকের বসু চৌধুরী পরিবারের সদস্যদের কাছে অজানা। জমিদারদের সেকেলে জমিদারি প্রথা আজ আর না থাকলেও বাসাবাড়ির কালী পুজোয় আজও রয়ে গিয়েছে সেকালের পুজোর প্রাচীন নিয়মকানুন সমূহ। পুজোর আগে মাকে রুপোর মুকুট, রুপোর না ও স্বর্ণালঙ্কারে সজ্জিত করা হয়। পুজোর সূচনাকাল থেকে আজও পাঁঠা বলির প্রথা আছে। কথিত আছে এখানে মায়ের কাছে অনেকে বলির মানত করে অন্ধ তার দৃষ্টি।
ফিরে পেয়েছে, বোবা তার বাকশক্তি ফিরে পেয়েছে, বান্ধনারীরা পুত্রসন্তান লাভ করেছে। এমনকী, হারিয়ে যাওয়া সন্তান সম্ভোতিকেও ফিরে পেয়েছেন অনেকে। আর ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ হলেই তারা মায়ের কাছে পাঁঠা বলি নিয়ে আসেন। ওই বাড়ির পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল নিষ্কড়ি ভোগ যা বাড়ির ব্রাহ্মণরাই তৈরি করেন। ওই ভোগ খে তে শুধু এগরা নয়, আশেপাশের থানা থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় জমান।
আরও পড়ুন : চাকরি প্রার্থীদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগে মেদিনীপুর শহরে বিক্ষোভ বাম-বিজেপির
তবে সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে এ বাড়ির পুজোয়। আগে খড়ের ছাউনির ঘরে পূজা হত। বর্তমানে দুই প্রান্তে দুটি সুচারু মন্দিরে মায়ের পুজো হয়। আগে প্রদীপ আর মশাল জ্বালিয়ে পুজো হত, কিন্তু এখন আর মশাল জ্বালিয়ে নয় জেনারেটরের লাইটেই পুজো হয়। সবমিলিয়ে মায়ের পুজোয় যাতে কোনও খুঁত না থাকে সেই বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখেন বসু পরিবার। আর বৈদিক রীতি মেনে সমস্ত নিয়ম মেনে নিষ্ঠাভরে মা কালীর পুজোর প্রস্তুতি চলছে এগরার এই বাসাবাড়িতে।
আরও পড়ুন : জোগান নেই বালির, কাজ না পেয়ে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি, সংসারে অনটন নির্মাণ ও বালি খাদান শ্রমিকদের
আরও পড়ুন : মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের বোর্ড মিটিং-এ হাজির শুভেন্দু অধিকারী
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore Municipality
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali