Midnapore Municipality : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুর শহরে গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানকে। তারপরই শহর জুড়ে গাছ লাগানোর উদ্যোগ মেদিনীপুর পৌরসভার। সৌন্দর্যায়নের জন্য লাগানো হবে কৃষ্ণচূড়া গাছও।
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : এবার মেদিনীপুর সাজবে কৃষ্ণচূড়ায়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুর শহরে গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানকে। তারপরই শহর জুড়ে গাছ লাগানোর উদ্যোগ মেদিনীপুর পৌরসভার। সৌন্দর্যায়নের জন্য লাগানো হবে কৃষ্ণচূড়া গাছও। যার ফুল সৌন্দর্যায়নের কাজ করবে। জানা গিয়েছে, শহরে ব্যাপকহারে কমেছে গাছের সংখ্যা।
আরও পড়ুন : পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দুর সভা ঘিরে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র , উত্তেজনা এলাকায়
সেই তথ্য পেয়ে মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যানকে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ দিয়েছিলেন শহরে বেশি করে গাছ লাগাতে। সেইমতো পৌরসভার পৌরপ্রধান, কাউন্সিলর, আধিকারিকরা এক বৈঠক করেন। শহরের সমস্ত ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়। বিশেষ করে কলেজ মোড় সহ রিং রোড এলাকায় রাস্তার দু’পাশে লাগানো হবে কৃষ্ণচূড়া গাছ। সৌমেন খান জানিয়েছেন, কলেজ মাঠের পাশে একটি ফাঁকা জায়গা রয়েছে।
আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুরে ‘মিনি টর্নেডো’! কয়েক মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড চন্দ্রকোনার বেশ কয়েকটি গ্রাম
সেই জায়গাটিকে সংস্কার করে গাছ লাগানোর জন্য মাটির তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বর্ষার সময় যাতে শহরের সমস্ত ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগানো যায় তার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি জানান, শহরের সৌন্দর্যায়নের জন্য কলেজ রোড সহ রিং রোডের যেখানে জায়গা পাওয়া যাবে কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানো হবে। তাতে সৌন্দর্যায়ন বাড়বে শহরের।
আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পরের দিনই মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার ঝাড়গ্রামে
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ফুটপাথগুলি ঠিক নেই বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন। সেই ফুটপাত সংস্কারের কাজ শুরু হবে। তবে পরিবেশপ্রেমীদের একাংশ মনে করছেন গাছ লাগিয়ে দায় সেরে ফেললে হবে না। গাছের প্রতি যত্ন নিতে হবে। তারা উল্লেখ করছেন, বছর দুয়েক আগে মেদিনীপুর গ্রামীণ সহ জেলার বিভিন্ন রাস্তার ধারে সৌন্দর্যায়নের জন্য লাগানো হয়েছিল পলাশ ও কৃষ্ণচূড়া।
আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালু করলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা
কিন্তু দেখা গিয়েছে মেদিনীপুর গ্রামীণের শালডাঙ্গা এলাকায় বেশ কিছু গাছ বেঁচে থাকলেও, মনিদহ, চাঁদড়া এলাকায় লাগানো গাছ বেঁচে নেয়। তারা বলেন, রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্নের দায়িত্ব ছিল সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের। কিন্তু পঞ্চায়েত থেকে যত্ন না নেওয়ায় অধিকাংশই গাছ মারা গিয়েছে। ফলে পরিবেশ প্রেমীদের বার্তা গাছ লাগানোর পাশাপাশি যত্নের দিকটাও গুরুত্ব দিক পৌরসভা।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Purba Medinipur
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore