Secondary Test Exam
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: মেলা, উৎসব, রাজনৈতিক সমাবেশ, নির্বাচন সবকিছু চললেও পড়ুয়াদের জন্য বন্ধ ছিল বিদ্যালয়ের দরজা। নানান ক্ষোভ-বিক্ষোভের পর নভেম্বরে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। এক মাসের বেশি সময় বিদ্যালয় খোলার পর হলো মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা। বিদ্যালয় খোলা থেকেই স্কুলের আঙিনায় ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন শিক্ষক সহ শিক্ষা দফতর। সেই সময় 40 শতাংশ পড়ুয়া বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিল।
আরও পড়ুন:- দুই মেদিনীপুর সহ ঝাড়গ্রাম পুরসভার ভোট ২৭ ফেব্রুয়ারি, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোট করানোর দাবি বিজেপির
যদিও অনেকে বলেছিলেন ধান কাটা, আলু লাগানো সহ চাষের কাজ থাকায় ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি কম ছিল। শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে অনুপস্থিত পড়ুয়াদের বিদ্যালয়মুখী করতে বাড়ি বাড়ি গিয়েছিলেন শিক্ষকরা। কিছু ছাত্র ছাত্রী এলেও অনুপস্থিতির বড় অংশ পা রাখেনি বিদ্যালয়ের আঙিনায়। তাঁদের মধ্যেও কিছুজন মাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষা দিতে হাজির হয়েছে। তার বাইরেও পনেরো থেকে কুড়ি শতাংশ ছাত্র ছাত্রী অনুপস্থিত। এমনই তথ্য উঠে এসেছে বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে। এর জন্য দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন বন্ধ থাকাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন শিক্ষকরা।
Secondary Test Exam
আরও পড়ুন:- সাবধান! পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রধান শিক্ষকের নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ
আরও পড়ুন:- বড়দিনের প্রাক্কালে নবরূপে সেজে উঠছে দীঘা, তৎপরতা তুঙ্গে
মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল উচ্চ বিদ্যালয়ে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা 290 জন। পরীক্ষা দিতে উপস্থিত হয়েছে 206 জন। 84 জন অনুপস্থিত। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রলয় বিশ্বাস জানান, ছাত্রদের অনেকে বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছে, ছাত্রীদের অনেকের বিয়ে হয়েছে। কেউ বা পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। কুইকোটা শঙ্করী বিদ্যানিকেতনে পরীক্ষার্থী 110 জন, অনুপস্থিত 28 জন। কেশপুরের পলাশতোড়্যা মাধ্যমিক স্কুলে 59 জনের মধ্যে 12 জন অনুপস্থিত। বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে ছাত্রীরা সবাই সংসার পেতে ফেলেছে।
আরও পড়ুন:- NAAC এর বিচারে ‘বি ডবল প্লাস’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মান পেল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্ররা বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়ে গিয়েছে। ভাদুতলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতেষ চৌধুরী জানিয়েছেন, বিভিন্নভাবে সচেতনতা প্রচার চালানোর পরও অনেক ছাত্র-ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত। তাঁর বিদ্যালয়ে 260 জনের মধ্যে 37 জন অনুপস্থিত। বিভিন্ন স্কুলের এই রকম তথ্য উঠে এসেছে। শিক্ষকরা জানাচ্ছেন গড় 15 থেকে কুড়ি শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিত পরীক্ষায়। যার ফলে উদ্বেগে শিক্ষকরাও। এর মধ্যে অবাক করা ঘটনা চাঁদড়া হাইস্কুলে। ওই স্কুলে 345 জনের মধ্যে অনুপস্থিতির সংখ্যা 32 জন হলেও, প্রথম পরীক্ষা দেওয়ার পর অনেকেই আর বাকি পরীক্ষা দিতে আসেনি।
আরও পড়ুন:- শালবনীতে সেতু সারাই না হওয়ায় বিক্ষোভের মুখে বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহ
শিক্ষকরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন, ওই ছাত্ররা জেনেছে টেস্ট পরীক্ষা না দিলেও ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে পারবে। খাজরা স্কুলে 278 জনের মধ্যে অনুপস্থিত 44 জন, ডেবরার পশং হাইস্কুলে 60 জনের মধ্যে অনুপস্থিত 8 জন, গোয়ালতোড়ের ধামচা ছাগুলিয়া হাইস্কুলে এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী 188 জন অনুপস্থিত 21 জন। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, কোনও স্কুলে 10 শতাংশ তো কোনও স্কুলে 30 শতাংশ। তারা বলেন, গড় পনেরো থেকে কুড়ি শতাংশ ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষা দিতে আসেনি।
আরও পড়ুন:- সাঁওতালী ভাষা দিবস পালন জেলা জুড়ে
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) চাপেশ্বর সর্দার বলেন, পরীক্ষার্থী অনুপস্থিতির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক উত্তম প্রধান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার ফলে ড্রপ আউট বেড়েছে। তিনি বলেন, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয় এখনই না খোলা হলে ড্রপ আউটের সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। তিনি অভিযোগ করেন, বেসরকারিকরণ করার লক্ষ্যেই বিদ্যালয় বন্ধ রাখছে সরকার।
আরও পড়ুন:- পূর্ব মেদিনীপুরে সিপিএম কর্মী খুনের ঘটনায় FIR , সিবিআইর জালে ১১ জন তৃণমূল নেতা-কর্মী
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Secondary Test Exam
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Secondary Test Exam
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper:. Fairs, festivals, political rallies, elections were all going on but the school doors were closed for the students. After various protests, classes from ninth to twelfth have started in November. After the school has been open for more than a month, it is the secondary test. Since the opening of the school, the education department along with the teachers had expressed concern over the presence of students in the school premises. At that time 40 percent of the students were absent from school.
However, many said that the attendance of students was low as there was farming work including cutting paddy and planting potatoes. Teachers went from house to house to send the absent students to school on the instructions of the education department. Although some students came, most of the absentees did not set foot in the school premises. Some of them have also appeared for the secondary test. Fifteen to twenty percent of the students are also absent. Such information has come up from different schools. For this reason, the teachers have taken the fact that the school has been closed for a long time.
The number of secondary students in Gurguripal High School in Medinipur Sadar Block this year is 290. 206 people appeared for the test. 84 people are missing. Praloy Biswas, assistant headmaster of the school, said that many of the students have been involved in various activities and many of them have got married. Someone has lost interest in or study. At Quikota Shankari Vidyaniketan, out of 110 candidates, 28 were absent. 12 out of 59 students are absent in Palashtora Secondary School in Keshpur. According to a teacher of the school, all the students have got a family.
Students have been involved in various activities. Amitesh Chowdhury, the headmaster of Vadutala High School, said that despite conducting awareness campaigns in various ways, many students were absent from the secondary examinations. Out of 260 students in his school, 37 are absent. Such information has come up from different schools. Teachers report that an average of 15 to 20 percent of students are absent from exams. As a result, the teachers are also worried. The surprise incident was at Chandra High School. Although 32 out of 345 students were absent from the school. Many did not come for the rest of the exams after taking the first exam.
The teachers found out that the students knew that they would be able to sit for the final test even if they did not take the test. Out of 278 students in Khajra School, 44 are absent, in Debara Pashang High School, 8 out of 60 students are absent, in Dhamcha Chagulia High School in Goaltore, 21 students are absent. According to the teachers, 10 percent in some schools and 30 percent in others. They said an average of fifteen to twenty percent of the students did not come to take the exam.
District School Inspector (Secondary) Chapeshwar Sardar said the issue of absence of candidates was being discussed. Uttam Pradhan, West Midnapore district secretary of the Association of Secondary Teachers and Educators, said drop-outs had increased as a result of the school being closed for a long time. He said the number of dropouts would increase drastically if the schools from class I to VIII were not reopened now. He complained that the government was keeping the school closed for the purpose of privatization.