Heritage
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: জেলার পুরোনো কালেক্টরেট বিল্ডিং আর জেলা শাসকের বাংলো ‘হেষ্টিংস হাউস’ টি অবশেষে হেরিটেজের মর্যাদা পেল। দীর্ঘদিন ধরেই জেলা বাসির এমনটাই দাবি ছিল । দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাজ্য হেরিটেজ কমিশন জেলার এই পুরোনো দুটি বিল্ডিং কে হেরিটেজ ঘোষনা করায় খুশি জেলাবাসী । ব্রিটিশ আমলের পুরনো ভবন। চুন-সুরকি, কড়ি-বরগায় যেন কথা বলে ইতিহাস। মেদিনীপুর কালেক্টরেটের এই পুরনো ভবন পেল হেরিটেজের স্বীকৃতি।
আরও পড়ুন:- সাতসকালে লরিতে আগুন মেদিনীপুরে, নেভাল দমকল, গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার চালক
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুরে ক্ষতির খতিয়ান সহ আলু চাষীদের ডেপুটেশন কৃষি দফতরে, জেলা শাসক দফতরে বিক্ষোভ
আগে থেকেই প্রশাসন ভবনটি হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করা হোক চাইছিলেন জেলা প্রশাসন। এই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছিল রাজ্য হেরিটেজ কমিশনে। সম্প্রতি কমিশনের সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক রশ্মি কমল। এর পরেই হেরিটেজ কমিশন থেকে ঘোষণা করা হয় হেরিটেজ বিল্ডিং হিসেবে। মেদিনীপুরে কালেক্টরেট চত্বরে রয়েছে পুরনো ভবনটি। এখানেই ছিল জেলা শাসক, অতিরিক্ত জেলা শাসকের দফতর। ক’বছর আগে এই চত্বরে নতুন ভবন গড়ে উঠেছে। সেখানে জেলাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসকের দফতর স্থানান্তরিত হয়েছে।
Heritage
আরও পড়ুন:- তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর পরিদর্শনে পা রাখলেন আদানি গোষ্ঠী
পুরনো ভবনে অবশ্য কয়েকটি দফতর থেকে গিয়েছে। ঠিক কবে এই ভবনের গোড়াপত্তন, সে নথি অনেক খুঁজেও মেলেনি। প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, ১৯৩৪ সালে যে ভবনটির অস্তিত্ব ছিল, সে প্রমাণ মিলেছে। যে নকশা ধরে এই ভবন হয়েছে, তারও খোঁজ নেই। ঘরগুলি উঁচু ছাদের। পুরনো আমলের কিছু আসবাবপত্রও রয়েছে। কালেক্টরেটের কর্মীদের মতে, এই কাঠামো এখনও কতটা পোক্ত রয়েছে, তা জানতে ভবনের কিছু অংশ কেটে ভিতরের চুন-সুরকি পরীক্ষা করা দরকার। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকও বলেন, ‘‘সংস্কার মানে শুধু ভাঙাভাঙি নয়। পুরনো চেহারা ফেরানোর কাজে হাত দেওয়ার আগে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে।’’
আরও পড়ুন:- হচ্ছে মেদিনীপুর শহরে চার্চ মেলা, বন্ধ আতসবাজী প্রদর্শনী
মেদিনীপুরের অনেকে মনে করাচ্ছেন, ঐতিহ্য সংরক্ষণে যে আইন রয়েছে, তাতে বিস্তর ফাঁক আছে। তা গলেই নষ্ট হচ্ছে একের পর এক ঐতিহ্যবাহী বাড়ি বা ভবন। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য হেরিটেজ কমিশনে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেখানে মেদিনীপুরের ইতিহাস এবং এই ভবনের গুরুত্ব মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। মনে করানো হয়েছে, ১৭৬০ সালেই মেদিনীপুর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনে চলে এসেছিল। সে সময়ে খাজনা আদায়ের নামে অবাধ লুট ও অত্যাচার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:- ডাকাতির আগেই পূর্ব মেদিনীপুরে পুলিশের হাতে পাকড়াও ১০ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল
মনে করানো হয়েছে, ১৯৩১, ১৯৩২, ১৯৩৩ পরপর এই তিন বছরে মেদিনীপুরে খুন হন তিন অত্যাচারী জেলাশাসক— পেডি, ডগলাস, পরপর তিন জেলাশাসক খুন হওয়ায় অনেকটাই বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। কালেক্টরেটের কর্মীদের মতে, ‘‘ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানিয়েই ভবনটি সংস্কার ও সংরক্ষণ করা দরকার।’’ প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্যের মধ্যে অন্যতম পুরনো জেলা সদর মেদিনীপুরই। ভবনটির সংস্কার ও সংরক্ষণের দাবি দীর্ঘদিনের। জেলাশাসক জুড়ছেন, ‘‘পুরনো ভবনটির স্থাপত্যশৈলীই আলাদা। দেওয়ালে সুক্ষ্ম কারুকাজ রয়েছে।’’
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুরে ছাত্রদের ঘেরাওয়ের পর বেশি নেওয়া ভাড়া ফেরত দিল বাস কন্ডাক্টর
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Heritage
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: The old district collectorate building and the district governor’s bungalow ‘Hastings House’ finally got the status of heritage. This was the demand of the people of the district for a long time. After a long wait, the people of the district are happy that the State Heritage Commission has declared these two old buildings of the district as heritage. Old British building. Chun-surki, kari-bargaya are like history. This old building of Medinipur Collectorate got the recognition of heritage.
As a result, the district administration already wanted the administration building to be declared as a heritage. After that, a letter to this effect was sent to the State Heritage Commission. Recently, Rashmi Kamal, the district governor of West Midnapore, sent a letter to the secretary of the commission. After that, it was declared as a heritage building by the Heritage Commission. As a result, the old building is in the Collectorate premises in Medinipur. Here was the office of the district governor, an additional district governor. For this reason, a few years ago, a new building was erected on this premises. After that, the offices of the District Magistrate and Additional District Magistrate have been shifted there.
In the old building, however, a few offices remain. Exactly when the foundation of this building was laid, he did not find any documents. According to administrative sources, the building, which existed in 1934, has been found to have evidence. There is no trace of the design of this building. The houses have high roofs. There is also some old-fashioned furniture. According to the staff of the Collectorate, some part of the building needs to be cut and the limestone inspections are done to find out how strong the structure is still. An official of the district administration also said, “Reforms are not just about disintegration. There is a lot of testing to be done before you can get back to your old look. “
Many in Medinipur feel that there are gaps in the law that preserves heritage. As a result, one traditional house or building after another is being destroyed. According to administration sources, the letter sent to the State Heritage Commission reminded of the history of Medinipur and the importance of this building. It has been recalled that Medinipur came under the rule of the East India Company in 1760. At that time there was free looting and torture in the name of collecting rent.
It has been recalled that in 1931, 1932, and 1933, three oppressive district governors were killed in Medinipur during these three consecutive years: Pedi, Douglas, and three consecutive district governors were killed. According to Collectorate staff, “the building needs to be renovated and preserved with due respect to heritage.” The demand for renovation and preservation of the building is long standing. The district magistrate added, “The architectural style of the old building is different. There are fine carvings on the walls. “