Hilsa
আরও পড়ুন ঃ– “বন্যা নিয়ন্ত্রণে গত দশ বছরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি করেছেন !”, খড়্গপুরে এসে মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের
পত্রিকা প্রতিনিধিঃ আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী কয়েক দিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হলেও দেখা নেই রুপোলি ইলিশের (Hilsa)।যে কোলাঘাট(Kolaghat) রূপনারায়ণ নদীর(Rupnarayan River) ইলিশ (Hilsa)স্বাদে গন্ধে মানুষের মুখে লেগে থাকত আজ সেই ইলিশের দেখা নেই। এক সময়ে বর্ষার সময়ে উপার্জন থেকে সারা বছর সংসার চালাতেন মাঝিরা। বর্তমানে ইলিশের আকালে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে হাতে টানা নৌকার সাথে মেশিন চালিত টলার ব্যবহার বেড়েছে। ডিজেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী প্রায় ১০০ টাকার কাছাকাছি। হিমশিম খাচ্ছে মাঝিরা। সারাদিন রূপনারায়ণ নদীতে ঘুরেও পর্যাপ্ত ইলিশ দেখা নেই। সারাদিনের পর প্রতিটা লৌকা কিংবা ট্রলার (Trawler)থেকে ইলিশ আসছে ২ থেকে ৫ কিলো।
আরও পড়ুন ঃ– বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে মেদিনীপুরে বিক্ষোভ ABECA-র
সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মৎস্য জীবীরা। মৎস্য জীবীরা মূলত নদীর দূষণ এবং ডিভিসি (DVC)জল ছাড়া কে দায়ী করছে। তার ওপর এবছর বৃষ্টির দেখা তেমন নেই। তার উপর নদীর দূষণ নিয়ন্ত্রণ করলে এবং গভীরতা বৃদ্ধি করলে হয়তো আবার সোনালি দিন ফিরতে পারে। কিন্তু তত দিনেও কি কোলাঘাটের ইলিশ দেখা যাবে। স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয় কোলাঘাটের ইলিশের চাহিদা বরাবরই থাকে তুঙ্গে। এ’বছরও সেই চাহিদার কমতি নেই। বাজারে প্রচুর চাহিদা কোলাঘাটের ইলিশ, কিন্তু যোগান কম থাকার কারণে সে হারে পাওয়া যাচ্ছেনা কোলাঘাটের ইলিশ।রূপনারায়ণ নদের দূষণ বাড়ছে। পাশাপাশি গভীরতা হ্রাস পাওয়ায় মুখ ফিরিয়েছে ইলিশের ঝাঁক। ক্রমাগত ডিভিসি জল ছাড়ছে।
Hilsa
আরও পড়ুন ঃ– পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে পথ দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু
নতুন জলের গন্ধে মুখ ফিরাচ্ছে কোলাঘাটের ইলিশ ঝাক। কোলাঘাটে মৎস্যরসিকরা যেমন বঞ্চিত হচ্ছেন , তেমনই সংকটে পড়েছেন রূপনারায়ণের উপর নির্ভরশীল মৎস্য জীবীরাও। এক সময়ে বর্ষার সময়ে উপার্জন থেকে সারা বছর সংসার চালাতেন মাঝিরা । বর্তমানে ইলিশের আকালে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা । নদীর দূষণ নিয়ন্ত্রণ করলে এবং গভীরতা বৃদ্ধি করলে হয়তো আবার সোনালি দিন ফিরতে পারে । ২০-২৫ বছর আগেও রূপনারায়ণ নদের পাড় ইলিশ বিক্রির জন্য গমগম করত । ওপারে হাওড়া জেলা ইলিশ পিপাসু মানুষ এবং এপারের মেদিনীপুরের(Medinipur) ইলিশ পিপাসু মানুষ কোলাঘাটের ইলিশ নেওয়ার জন্য ভিড় জমাতো।
আরও পড়ুন ঃ– বাড়ি-জমির একাংশ নদীগর্ভে,ঘুম উড়েছে মেদিনীপুর গ্রামীণ এলাকার মানুষদের,অন্যত্র পুনর্বাসনের আশ্বাস প্রশাসনের
নদী থেকে মৎস্যজীবিরা জ্যান্ত ইলিশ ধরেই বিক্রি করতো নদী পাড়ে এসে। কোলাঘাটে ইলিশের দামের যেমন অন্যদের চেয়ে একটু বেশি থাকলেও সুস্বাদু তে ভরা অন্যদের থেকেও বেশি পরিমাণ। কিন্তু এই যুগে ইলিশ পিপাসু মানুষ রয়েছে, কিন্তু সেই ইলিশ আর চোখে পড়ছেনা আপামর জনসাধারনের। প্রায় কয়েকশ’ মৎস্যজীবী রূপনারায়ণের রুপোলি ইলিশ তুলেই দিন গুজরান করতেন । কয়েক বছর ধরেই ছবিটা ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে । দিনের পর দিন কোলাঘাট শহর ও বিভিন্ন এলাকার বর্জ্য নদীতে মিশে দূষণ ও পলি জমে । সামনেই কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট এবং রামকো সিমেন্ট কারখানার দূষিত জল কোলাঘাট রূপনারায়ণ নদীতে পড়ছে। এতে জলদূষণের মাত্রা বাড়ছে।নদীর গভীরতা কমে যায় । বঙ্গোপসাগর থেকে নদীর অভিমুখে ইলিশের ঝাঁক মুখ ফেরায়। তাই ধীরে ধীরে কোলাঘাটের ইলিশের সোনালি দিন হারাতে বসেছে । মাঝিরা জানাচ্ছেন, দূষণ রোধ করতে হবে এবং নদী খনন করতে হবে। তাহলে হয়তো যদি আগামী দিনের মতন রুপালি কোলাঘাটের ইলিশের দেখা যেতে পারে ইলিশ পিপাসু মানুষদের।
আরও পড়ুন ঃ– ফের দিঘা সমুদ্রে উল্টে গেল ট্রলার, প্রাণে বাঁচল মৎস্যজীবিরা
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Hilsa
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore