Martyr’s Day
আরও পড়ুন ঃ–মেদিনীপুরের এক এটিএম থেকে উধাও ১কোটি ২১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা, গ্রেফতার ৩
পত্রিকা প্রতিনিধি: ফের পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) কেশিয়াড়ীতে (Keshiary) প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার শহীদ দিবস পালনে মাইক বাজানো নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল। যার জেরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসতে হয়েছে কেশিয়াড়ী থানার পুলিশকে। ১৯৯৩ সালে সচিত্র ভোটার কার্ডের দাবিতে মহাকরণ অভিযান করেছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই অভিযানে বাম আমলে পুলিসের গুলিতে ১৩ জনের মৃত্যু এবং আহত অনেকেই হয়েছিলেন বলে দাবি তৃণমূলের। এরপরেই তৃণমূল কংগ্রেস দল গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই দিনটিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বুধবার দিনটি পালিত হল কেশিয়াড়ী (Keshiary) ব্লকের বাঘাস্তি ৫ নং অঞ্চলের বেনাডিহা (Benadihi) এলাকায়। কিষাণ খেতমজুর তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ দিবসের মঞ্চে হাজির ছিলেন বিধায়ক পরেশ মুর্ম্মূ, ফটিকরঞ্জন পাহাড়ী, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামণি মান্ডী সহ অন্যান্যরা। ও ই এলাকায় ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ব্লক তৃণমূলের আরেকটি মঞ্চ হয় শহীদ দিবস পালনের। সেখানেও বাজছে মাইক। এই সভামঞ্চ দলের নির্দেশে হয় বলে জানান ব্লক সভাপতি অশোক রাউত। আর এদিন ফটিক রঞ্জনের আয়োজিত সভামঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেজাজ হারালেন কেশিয়াড়ীর বিধায়ক পরেশ মুর্ম্মূ। বক্তব্য রাখার সময় অন্য সভামঞ্চে উচ্চস্বরে বাজছিল ডিজে। বিধায়ক বলেন, বারে বারে আবেদন করা সত্বেও কমেনি মাইকের সাউন্ড। মেজাজ হারিয়ে আক্রামণাত্মক হয়ে ওঠেন বিধায়ক। তিনি বলেন, যতই কমানোর জন্য বলছি ততই ওরা সাউন্ড বাড়িয়ে দিচ্ছে। শহীদ তর্পণের মঞ্চকে যারা সম্মান দিতে জানে না তারা আর যাই হোক তৃণমূলের নামে তৃণমূলের ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই না। নির্লজ্জ বলে কটাক্ষ করেন বিধায়ক। মাইকের সাউন্ড বেড়ে চলায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয় দুই পক্ষের মধ্যে। পুলিশের সামনেই চলতে থাকে ডিজে। উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কেশিয়াড়ী থানার আই সি বিশ্বজিৎ হালদার ও বেলদা পুলিশ মহকুমা আধিকারিক সহ পুলিশ বাহিনী। এরপরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পরেশ মুর্ম্মু বলেন, আজকের দিনে কোনোরকম অশান্তি যেন না হয়। সবাই যেন বাড়ি ফিরে যেতে পারে তার ব্যবস্থা করুক পুলিশ। শহীদ দিবসের দিনে এমন ঘটনায় শোরগোল। অশোক রাউত বলেন, ব্লক থেকে প্রতিটি জায়গায় শহীদ দিবস পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার বাইরে আলাদা করে কেউ করে থাকলে বলতে পারব না। বিধায়কের বক্তব্যের কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Martyr’s Day
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore