পত্রিকা প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’(Yaas)-এ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা(Digha), মন্দারমণি(Mandarmoni)। প্রবল জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে গোটা এলাকা।ভেঙে পড়েছিল সমুদ্র তীরের সমস্ত কাঠামো।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘মেরিন ড্রাইভ’। তবে ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত সারিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে রাজ্যের জনপ্রিয় পর্যটনস্থলকে। আর পরিস্থিতিতে দিঘাকে(Digha) নিয়ে নতুন ভাবনা রাজ্যের।দিঘায়(Digha) বেড়াতে আসেন ভিন্ন রাজ্যের হাজার হাজার পর্যটক। আর সেই দিঘায় পর্যটকদের কাছে নতুন এক পর্যটনস্থল তৈরি হয়েছে দিঘার অদূরে নতুন নৈকালি মন্দিরে। তবে এই মন্দির সংলগ্ন এলাকা বিশেষ ভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলেই মনে করছে রাজ্য পর্যটন দফতর। আর ঠিক সেই লক্ষ্যেই আগামী দিনে পর্যটন দফতরের উদ্যোগে এই মন্দিরের পার্শ্ববর্তী সমূদ্রে(Sea) ভাসমান হাউস বোট ও ভাসমান রেস্তোরাঁ খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা নিয়েছে রাজ্য(State)।
দিঘায় ‘যশ'(Yass)ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে এসে একথা সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী(Tourism Minister) ইন্দ্রনীল সেন(Indranil Sen)। তিনি বলেন, দিঘার অদূরে নৈকালী মন্দির পর্যটনের নতুন পালক হয়ে গড়ে উঠবে । আর ওই ঠিক পাশের সমূদ্রে ২টি ভাসমান হাউস বোট রাখার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। এছাড়াও ১টি ভাসমান রেস্তোরাঁও থাকবে এই সমুদ্রে। দিঘায় বেড়াতে এসে পর্যটকরা(Tourist)ভাসমান হাউস বোটে রাত্রিযাপন করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।তবে এদিন তিনি নৈকালি মন্দির পরিদর্শন করেন । আর এরপর ভাসমান হাউস বোটের বিষয়টি তুলে ধরেন। পাশাপাশি সেই সঙ্গে দিঘার(Digha)কোন কোন জায়গায় সমস্যা রয়েছে, দিঘার উন্নতিকল্পে কোন কোন কাজ প্রয়োজন সেগুলো নিয়েও বিস্তারিত তথ্য নিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী”।তবে এরপর ঠিক সোমবার সকালে আবারও পর্যটমন্ত্রী((Tourism Minister)ইন্দ্রনীল সেন বেরিয়ে পড়েন মন্দারমণি সহ আশেপাশের এলাকা পরিদর্শনে। আগামী দিনে লকডাউন উঠে গেলেই পর্যটন শিল্প যাতে ঘুরে দাঁড়ায় তার জন্য সবরকম চেষ্টা রাজ্য সরকার চালাচ্ছে বলেই জানান তিনি। তবে নৈকালি মন্দির সহ পাশ্ববর্তী সমুদ্রে ভাসমান হাউস বোট ও ভাসমান রেস্তোরাঁ খোলার খবরে খুশি পর্যটকেরা।
এবিষয়ে এক পর্যটক বলেন , নৈকালি মন্দিরের নাম শুনেছি, তবে এখনও পর্যন্ত যাওয়া হয়ে ওঠেনি। তবে সরকার ওই মন্দির সংলগ্ন সমুদ্রে ভাসমান হাউসবোট ও ভাসমান রেস্তোরাঁ খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে শুনলাম। তবে তা যদি বাস্তবায়ন হয়ে থাকে তাহলে একবার হলেও ভাসমান হাউসবোটে ঘুরে মন্দির পরিদর্শন করা যাবে। শুধু তাই নয় ভাসমান হাউসবোটে চড়েও খুব সহজেই সমুদ্রের মনোরম দৃশ্য অনুভব করা যাবে ।