Fish loss
আরও পড়ুন ঃ–যশের (Yass) জেরে রবিবারে মাছের বাজার অগ্নিমূল্য, পছন্দের সবজিও ঢুকছে না ব্যাগে
পত্রিকা প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় ‘যশের’ (Cyclone Yass) জেরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন মৎস্য চাষীরা। শুধু পূর্ব মেদিনীপুরেই প্রায় ৫০ হাজার মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইয়াসের (Yass) জেরে প্রায় ৬০ হাজার মাছ চাষী ও ১ লক্ষ ২০ হাজার চাষী ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এছাড়াও ৮১৫০ হেক্টর জমির সব্জি, ফুল ও পান চাষের ক্ষতি হয়েছে। গোটা জেলায় ৮০০ গ্রাম জলমগ্ন হয়েছিল। মোট ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের সংখ্যা ১২০০। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, জেলায় মোট সাড়ে ৯লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ২৫টি ব্লকের মধ্যে ১২টি ব্লক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক হিসেবে নির্ধারণ করার কাজ চলছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘যশের’ (Cyclone Yass) কারণে সব ভেড়িতেই বৃষ্টির মিষ্টি জল ও সমুদ্রের নোনা জল এমনভাবে ঢুকেছে যে সব চিংড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মৎস্যমন্ত্রীর রিপোর্ট অনুযায়ী শুধু পূর্ব মেদিনীপুরেই চিংড়ি চাষে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার। পূর্বে প্রায় ১৯ টি ব্লকে সমুদ্র নিকটবর্তী এলাকায় ভেড়িতে চিংড়ির চাষ হয় কারণ সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা চিংড়ি চাষের উপযুক্ত। চিংড়ির ওজন ১৮ থেকে ২০ গ্রাম হলেই জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে তা ভেঁড়ি থেকে তুলে বিক্রী করে দেওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড় ‘যশের’ (YASS) কারণে সব ভেড়িতেই বৃষ্টির মিষ্টি জল ও সমুদের নোনা জল এমনভাবে ঢুকেছে যে সব চিংড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে এই রাজ্যে মাত্র তিনটি জায়গাতেই চিংড়ির হ্যাচারি আছে। দুটি আছে নিউ দীঘায়, একটি আছে তাজপুরে।
মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি রামনগর-১ ব্লকের পদিমা-২ পঞ্চায়েত, ন্যায়কালী মন্দির লাগোয়া ফিশারি ফার্ম, কাঁথি-১ব্লকের শৌলা মৎস্যখটি এবং দীঘা উপকূল এলাকা পরিদর্শন করেন। অখিলবাবু বলেন, উপকূল এলাকায় ঘরবাড়ি ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে মৎস্যচাষে বিপুল ক্ষতির ফলে এই এলাকার অর্থনীতির উপর প্রভাব পড়বে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Fish loss
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore