পত্রিকা প্রতিনিধি : আতঙ্কের আরেক নাম বেলদা গ্রামীণ হাসপাতাল। যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আবর্জনা থেকে অ্যান্টিজেন টেস্টের পর ব্যবহৃত টেস্ট কিট।চোখের সামনে পড়ে থাকলেও সেদিকে নজর নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।দিনের পর দিন সেই গাফিলতির ছবি সামনে এসেছে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এহেন উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ রোগীর পরিজন থেকে সাধারণ মানুষ।বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালের প্রথম তল থেকে তৃতীয় তল,,সব জায়গায় এই ছবি প্রকাশ্যে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই টেস্ট কিট পড়ে থাকার কথা স্বীকার করলেও হুঁশ নেই সেদিকে।প্রসঙ্গত নারায়ণগড় ব্লকের অন্যতম ব্লক স্তরীয় হাসপাতাল বেলদা গ্রামীণ হাসপাতাল। বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালের তৃতীয় তলে আপৎকালীন মহিলা-পুরুষ বিভাগ থেকে প্রসূতি বিভাগ রয়েছে।সেই ওয়ার্ডে ঢোকার মুখে জানালা,কিংবা এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবহার্য টেস্ট কিট।আবার যেখানে রোগীর আত্মীয় পরিজন রা অপেক্ষা করেন সেখানেও স্তুপ করে রাখা আছে সেই ব্যবহার্য টেস্ট কিটগুলো।নারায়ণগড় ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আশিষ মন্ডল বলেন-“এক দুটো জায়গায় পড়ে আছে।তবে সেভাবে চোখে পড়েনি।” Belda corona news, Belda corona news, Belda corona news, biplabi sabyasachi news, midnapur news
আরও পড়ুন- কেশিয়াড়িতে বাজ পড়ে মৃত মহিলা,আহত ২
প্রসঙ্গত করোনা আক্রমনের সময়ে বেলদা হাসপাতালের বেশ কয়েকজন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।মৃত্যু হয়েছে এক কর্মীর।তবুও অ্যান্টিটেস্ট হয়ে যাওয়ার পর তা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় আতঙ্ক বাড়ছে।রোগীর পরিজন এক ব্যক্তি বলেন-“এভাবে দেখছি যেখানে সেখানে পড়ে আছে করোনা টেস্টের কিট গুলো।স্বাভাবিক ভাবে ভয়েতে আছি।কারণ এগুলি থেকে করোনা ছড়াবে না তার কি কোন নিশ্চিত আছে?”পাশাপাশি রোগীর পরিজন দের এও অভিযোগ- নির্দিষ্ট ব্যবহার প্রনালী না শিখিয়ে রোগীর হাতে কিট দেওয়াতে টেস্ট কিটের ব্যবহার ঠিক মতো করতে পারছেন না রোগীরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা এবং উদাসীনতার অভিযোগ করেছে এলাকার বিজেপি নেতা গৌরিশঙ্কর অধিকারী।তিনি বলেন-“বারবার জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি।প্রতীকি ভাবে একদিন হাসপাতাল পরিষ্কার করার পরেও হুঁশ ফেরেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের,বাইরে আবর্জনা তে ভর্তি।স্বাস্থ্য দপ্তরের গাফিলতি রয়েছে।”কার্যত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ড্যামেজ কন্ট্রোল করে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন-“কর্পোরেশন বা অঞ্চল থেকে এখানে আবর্জনা তুলে নিয়ে যায়না,জৈব আবর্জনা কে নষ্ট করা গেলেও অজৈব আবর্জনাকে নষ্ট করা যায়না ভ্যাটের মাঝে রাখতে হয়।”বাইরে আবর্জনার স্তুপ এবং ভেতরে এই ব্যবহৃত কিট পড়ে থাকায় নতুন আতঙ্ক বাড়ছে রোগী থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi