পত্রিকা প্রতিনিধি: জেলায় সংক্রমণের গতি এখনো লাগামছাড়া! জেলা স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা যায়, শনিবারের (৫ সেপ্টেম্বর) র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের আরটি-পিসিআর টেস্ট এবং এসএসকেমের আরটি-পিসিআর টেস্ট মিলিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ২৬০ জন। এর মধ্যে, অ্যান্টিজেনে ১৮৮ জন, মেডিক্যাল কলেজের টেস্টে ৬৫ জন এবং এসএসকেমের টেস্টে ৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২৬০ জন আক্রান্তের মধ্যে বেশিরভাগ জনের উপসর্গ না থাকলেও, অনেকেরই জ্বর, সর্দি-কাশি সহ বিভিন্ন উপসর্গ রয়েছে। Belda corona news, Belda corona news,
আরও পড়ুন- একই পরিবারের ৪ জন সহ খড়্গপুরে ফের করোনায় আক্রান্ত ৪৬
অপরদিকে করোনা পরিস্থিতিতে সামনের সারিতে থেকে কাজ করে যাওয়া মানুষজন লাগাতার আক্রান্ত হচ্ছেন। বাদ যাচ্ছেন না চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে পুলিশ। এই আবহে শনিবার বেলদা থানার কয়েকজন পুলিশ কর্মী করোনা আক্রান্ত হলেন। পুলিশে লাগাতার সংক্রমণ ছড়ানোয় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বেলদা থানার ছয়জন পুলিশ কর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাদের তিনজনকে মেদিনীপুর আয়ুষ ও তিনজনকে খড়্গপুর সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে। একসঙ্গে ছয়জন আক্রান্ত হওয়ায় পুলিশের মধ্যে শোরগোল পড়েছে।
জানা গিয়েছে ৪ সেপ্টেম্বর বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের পর শনিবার পজিটিভ আসে।কয়েকমাস আগে বেলদা থানার অন্তর্গত জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়ির এক এএসআই করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ফাঁড়িটি। চল্লিশজন পুলিশ কর্মীকে কোয়রান্টিনে পাঠিয়েছিল প্রশাসন। দাঁতন থানারও বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আসে। সামনে থেকে ঘিরে দেওয়া হয়েছে থানা চত্বর। মানুষকে বিভিন্ন অভিযোগ জানাতে হলে বাইরে থেকেই সব প্রক্রিয়া চালাতে হচ্ছে। এবার বেলদা থানার সিভিক, হোমগার্ড, কনস্টেবল-সহ ছয়জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংস্পর্শে আসা বাকি পুলিশ কর্মীদের কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। আগেই দুজন বেলদা মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের বাহিনীর দুজন কর্মী আক্রান্ত হন। সংস্পর্শে আসা অন্যান্য কর্মীদের আলাদা রাখা হয়েছে। ফের তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। লাগাতার এই সংক্রমণ ছড়ানোয় বেলদা থানা কী বন্ধ হতে চলেছে ? প্রশ্ন ঘুরছে এলাকায়।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi