পত্রিকা প্রতিনিধি: মধুর স্মৃতি ভোলার নয়,ভুলতে পারছেন না কেউই।প্রাক্তন বাঙালি রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ কিংবা ছবি তোলা,এমন এক রাজনৈতিক ব্যক্তির সান্নিধ্যে আসা যে ভোলার নয় বেশ কয়েকজনের কাছে। জীবনের পথে মৃত্যু যেন সব ভেঙেছে স্বপ্ন।মধুর স্মৃতি আজ ফটোফ্রেমে বন্দি।প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বেলদার অলকরতন মিত্র থেকে কৌশিকেরা। belda news, belda news, biplabi sabyasachi news, medinipur news, latest bengali news, bengal news
বাংলার বীরভুম জেলা থেকে দিল্লি।কংগ্রেস নেত্রীর চোখে পড়েন প্রনব মুখার্জী।অসাধারণ রাজনৈতিক নেতা,অধ্যাপক মন কেড়েছিলেন সকলের।বেশিরভাগ সময়ে পরণে ধুতি পাঞ্জাবি।আজ সেই ভারতরত্ন ভারতের রত্ন আজ অনেকটাই দূরে। ১৯৮৬ সালে নিজের গড়া রাষ্ট্রীয় সমাজবাদী কংগ্রেসের প্রচারে বেলদা এসেছিলেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখার্জী। রাতও কাটিয়েছেন বেলদাতে।তখনও রাষ্ট্রপতি হন নি তিনি।কংগ্রেস ছেড়ে নতুন দল গঠনের পর বেলদা একটি বাড়িতে ছিলেন প্রনব বাবু।ছোট মাটির ঘর থেকে গিয়ে রাইসেনা হিল বিল্ডিং এর সেই প্রনব মুখার্জি আজ নেই।স্মৃতিতে আসে বাংলা কংগ্রেসে যুক্ত থাকার সময় নারায়ণগড় ও দাঁতনে একাধিক প্রচার ও কর্মীসভা করেছেন। ১৯৮৬ সালে দিল্লির বাংলা বঞ্চনার প্রতিবাদে সেইসময় বেলদা গান্ধী পার্কে একটি সভা সংগঠিত হয়েছিল।তখনই কংগ্রেস কর্মী হিসেবে থাকার সুবাদে বেলদা কলেজের অধ্যাপক কংগ্রেস কর্মী অলকরতন মিত্রের বাড়িতে থেকেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। দুপুরে সকলের সঙ্গে আহার সারেন তিনি। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আলোচনার পাশাপাশি আড্ডা ও জমিয়েছিলেন অলকবাবুর পরিবার সহ প্রতিবেশি বেশ কয়েকজনের সাথে। পরিবারটির সঙ্গে কাটিয়েছিলেন অনেকটা সময়। সেই স্মৃতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই জেগে উঠেছে তাদের পরিবারে।আজ নেই এই কথা ভেবে চোখে জল আসে অলকবাবুর।জীবন বৃত্তান্ত শুনাতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন সত্তোরদ্ধ এই অধ্যাপক।শুধু তাই নয় বেলদার পুলিন দে’র পরিবারও।সেই সময়ে ছবি তোলার সুযোগ পেয়েছিলেন পুলিন বাবু।আজও সেই মধুর স্মৃতিতে প্রাক্তন বাঙালি রাষ্ট্রপতি।তার পাশে বসেই ছবি তুলেছেন অনেকে।তার অসাধারণ পরিচয়,বাগ্মিতা এমনকি রাজনৈতিক কুশলতা ভাবিয়েছে সেদিনের ছোট্ট কৌশিক দে কে। তিনি বলেন,” তখন আমি ছোট। একসঙ্গে বসে ছবি তোলা হয়েছিল। অনেক কথা বলেছিলেন।মজা করেছিলেন আমাদের সাথে।আজ আবছা স্মৃতি ও পূরানো ছবিটি সেদিনের সেই দিনকে মনে করিয়ে দিচ্ছে।তার প্রয়ানে গভীর শোকাহত।”
বাংলা থেকে দিল্লি গিয়ে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতা।রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ, দিল্লিতে গিয়ে বাঙালির গৌরব অর্জন সবই হয়েছিল প্রণব বাবুর হাত ধরে।আজ শারীরিক কারণে তিনি ইহলোক ছেড়ে আজ অনেক টা দূরে।পূরানো দিনের কাটানো সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে বারবার।
আরো পড়ূণ- খড়্গপুর টাউন থানায় করোনার থাবা, শনিবারের রিপোর্টে আক্রান্ত ৩২ জন
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi