পত্রিকা প্রতিনিধি: করেনার জন্য বন্ধ হয়ে গেল ঐতিহাসিক রেলের হাসপাতাল । রেল হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা রেলের কর্মীরা । kharagpur news, kharagpur news, bengal news, latest bengali news, biplabi sabyasachi news
কয়েকদিন ধরেই রেল হাসপাতালের পরপর ৫ চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মী ও সাফাই কর্মী থেকে শুরু করে প্রথম সারিতে কর্মরত ২৫ জন করোনা আক্রান্ত হন খড়গপুর রেল হাসপাতালে মধ্যেই । তার মধ্যেই আজ (৩১ আগস্ট) এন্টিজেন টেস্টে প্রায় ১০ জন সাফাই কর্মী সহ একাধিক রেল হাসপাতালের কর্মীর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এই আতঙ্কে জেরে রেল হাসপাতাল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল রেলের আধিকারিকরা । ফলে দিশাহারা রেলকর্মীরা। তারা জানান , রেলের কোনো কর্মী করোণা আক্রান্ত হলে কোথায় ভর্তি হবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েছে রেল ও প্রশাসনের । তার কারণ রেল রাজ্য চরম সংঘাতের মধ্যেই রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছিল রেলের কর্মী কেউ যদি আক্রান্ত হয় রেলকেই দায়িত্ব নিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে । তারপর থেকে রেল হাসপাতালকেই কোভিড হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল তার মধ্যেই এই ঘটনায় অস্বস্তিতে ফেলেছে রেল প্রশাসনকে। ইতিমধ্যেই রেল হাসপাতালে ভর্তি থাকা প্রত্যেক রোগীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । এবং জরুরীকালীন রোগীদের কে অন্যত্র স্থানান্তরিত করে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে রেলওয়ে প্রশাসন ।
আরো পড়ূণ- খড়্গপুর টাউন থানায় করোনার থাবা, শনিবারের রিপোর্টে আক্রান্ত ৩২ জন
অপরদিকে গত ২৭ আগস্ট করোনা আক্রান্ত হয়ে শালবনী করোনা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন। গতকাল (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যেবেলা পরিবারকে ফোন করে জানানো হয়, আক্রান্ত ব্যক্তি’র রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে, ৩১ আগস্ট সকালে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে, এমনটাই জানা গেছে পরিবার সূত্রে। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও, মোবাইল ফোনটি সুইচ অফ আসে। এরপর পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় তৃণমূল নেত্রীর দ্বারস্থ হয়। তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথা হওয়ার পরই আসে চরম দুঃসংবাদ!
এদিকে, তৃণমূল নেত্রীর কথা শুনে, মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে পরিবারের। পরিবারকে জানানো হয়, আজ সকাল ছ’টা নাগাদ হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে পরলোকগমন করেছেন খড়গপুরের ছোটে ট্যাংরার বাসিন্দা স্বপন সেনগুপ্ত (৬৫)’র । স্থানীয় তৃণমূল নেতা হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। পেশায় ছিলেন, আর্কিটেকচার ডিজাইনার। আকস্মিক এই দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে ওই পরিবারে! পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, গত ২৭ আগস্ট শ্বাসকষ্ট হওয়ায় খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়। রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপরই তাঁকে শালবনী করোনা হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।” কিন্তু, দু’দিন পর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে শুনে পরিবারের সদস্যরা খুশি হন। কয়েকঘন্টা পরই এই চরম দুঃসংবাদে পরিবারের সদস্যরা এখনও হতভম্ব!
এদিকে, আজ বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ শালবনী হাসপাতালের পক্ষ থেকে দেহ দিয়ে দেওয়া হয়, ওই পরিবারের হাতে। কারণ, তাঁর শেষ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। তবে, পরিবারের সদস্যদের মনে এখন প্রশ্ন এটাই, আদৌ কি তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন, নাকি হৃদরোগের সমস্যার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে!
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi