পত্রিকা প্রতিনিধি: জেলা স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী মেদিনীপুর শহর ও শহরতলিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫। প্রথম আক্রান্তকারী হলেন মেদিনীপুর শহরের পুলিশ সুপারের বাংলোর পুরোহিত (২৮)। ওই যুবক পাঁচখুরী সংলগ্ন যদুপুর এলাকার বাসিন্দা। যদিও ওই পুরোহিত পরিবারের সাথে শহরের কুইকোটার কাছে পুলিশ লাইনের কাছে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। সম্প্রতি ওই যুবক পুলিশ লাইন কোয়ারেন্টাইনেই আছেন বলে জানা যায়। গত ৮ আগস্ট ওই যুবকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হলে সোমবার রাতেই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরিবারের কেই (স্ত্রী ,মা ও বাবা) সংক্রমিত হয়নি বলে জানা যায়। কারণ ওই পুরোহিত বেশ কয়েকদিন ধরেই পুলিশ লাইনের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়েছেন।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় আক্রান্তকারী হলেন মেদিনীপুর শহরের পাটনাবাজার সংলগ্ন সাহেবপুকুর চকের বাসিন্দা। জানা যায় পাটনাবাজারের ওই ব্যবসায়ী স্বইচ্ছায় মেদিনীপুর শহরের লেভেল ১ কোভিড হাসপাতালে তাঁর স্ত্রী ও মায়ের লালারসের নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য দিয়ে এসেছিলেন। সোমবার রাতেই ওই ব্যবসায়ীর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এলও স্রী(৩১) ও মায়ের (৫৭) করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই তারা প্রত্যেকেই অ্যাসিমটোমেটিক বা উপসর্গহীন। তাদের কে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানা যায় পরিবার সূত্রে।
অপরদিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের এক কর্মী (৪৩)। গত ৮ আগস্ট তার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হলে সোমবার রাতেই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সম্প্রতি ওই ব্যক্তির শরীরে করোনার উপসর্গ (জ্বর) দেখা মেলায় শনিবার কোভিড পরীক্ষা করা হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কর্মী শালবনী থানার চান্দাবিলা সংলগ্ন বেনাডিহি এলাকার বাসিন্দা। হাসপাতালের বিভিন্ন রোগী ও তাঁর আত্মীয় পরিজনদের সংস্পর্শে এসেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান স্বাস্থ্য দফতরের। পরিবার সূত্রের খবর ওই ব্যক্তিকে বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেনাডিহি সংলগ্ন মহাতাপনগরে বছর ৩৬ এর এক মহিলার করোনা আক্রন্তের খবর মেলে। গত রবিবার তার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠালে সোমবার রাতেই কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে।